কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ৭


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ২৩/০৪/২০২৪, ৩:৫০ PM / ৩০
কেএনএফ সংগঠনের সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ৭

জয়বাংলা নিউজ ডেস্ক। 

বান্দরবানের রুমায় যৌথ অভিযানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ সংগঠনের সাথে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে এক নারীসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩এপ্রিল) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত সাত জনকে আদালতে তোলা হলে বান্দরবানের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ.এস.এম এমরান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন, লাল নুন নোয়াম বম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান বম (৩২), ভান মুন নোয়াম বম (৩৩), লাল মিন বম (৫০)। তারা সবাই রুমা সদর ইউপির মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা। ভান বিয়াক লিয়ান বম(২৩) বান্দরবান সদর লাইমি পাড়ার বাসিন্দা।

এর আগে গতকাল সোমবার রুমা সদর ইউপির মুনলাই পাড়া থেকে ছয়জন এবং ভান বিয়াক লিয়ান বমকে বান্দরবান মিলনছড়ি পুলিশ চেকপোস্ট থেকে আটক করা হয়।

কেএনএফ সংগঠনটির সাথে জড়িত সন্দেহে আটক ভান মুন নোয়াম বম রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

২৩ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক এর স্বাক্ষরিত জেলা ছাত্রলীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে ভান মুন নোয়াম বম কে বহিষ্কার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা শাখার জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থি, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ভান মুন নোয়াম বম (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রুমা উপজেলা শাখা) কে বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ পর্যন্ত যৌথ অভিযানে থানচি ও রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও অপহরণের ঘটনায় ৯টি মামলায় ২২জন নারীসহ ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৫৬ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অপহরণের দুইদিন পরে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করে র‍্যাব। তবে রুমা সোনালী ব্যাংক শাখা হতে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪ টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার সম্ভব হয়নি এর পর হতেই রুমা ও থানচি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চলমান আছে।