আবদুর রশিদ ,নাইক্ষ্যংছড়ি।
ককসবাজারের রামুর গর্জনিয়াতে অপহরণের ৭ ঘন্টা পর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে।
আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ অক্টোবর রাত ১০ টা থেকে গভীর রাত ৪ টায়।
আর ঘটনায় আহতরা হলো: অপহৃত ব্যবসায়ী ক্যউজার বিলের মো: ইসলামের ছেলে আসানুল হক (৩৫),একই একই গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে বেলাল উদ্দিন,আমির আহমদের ছেলে ছৈয়দ আলম ও মোহাম্মদ মমতাজের ছেলে আবদুল হামিদ।
প্রত্যক্ষদর্শী,নুরুল ইসলাম ও মুফিদুল আলম এ প্রতিবেদককে জানান,
তারা সারাদিন কৃষি ক্ষেতের কাজ সেরে স্থানীয় ক্যউজার বিল গ্রামের আমানুল হকের মুদি দোকানে কেনা-কাটা করতে যান। গ্রামের মাঝখানের দোকান হওয়ায়
গ্রামের সবাই এখানে আসে। তারই অংশ হিসেবে দোকানে বেশ ক’জন লোক দোকানে ছিলো।
ঠিক সে সময় কাউয়ারখোপের উখিয়ার ঘোনার এক সাবেক ১ মেম্বারের মেম্বারের নেতৃত্বে একদল লোক অস্ত্র ও লম্বা দা নিয়ে তাদেরকে মারধর করে ব্যবসায়ী আমানুল হককে অস্ত্রের মূখে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী আমানুল হক জানান,তাকে রাত ১০ টায় অপহরণের পর পাহাড়ি পথ বেয়ে নিয়ে যায় জঙ্গল গর্জনিয়া বনের মাঝামাঝি নাপিতের ঘোনার পাহাড়ে। সেখানে আটকে রেখে প্রথমে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। আকুতি মিনতির পর ১ লাখ টাকা চাঁদা নিতে সম্মত হয়।
পরে রামু থানা ও গর্জনিয়া পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেই সাবেক মেম্বারের
সাথে যোগাযোগ করে তাদের গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড় মেম্বার ইমরান। তারা পরস্পর কথা বলে
রাত ৪ টায় অপহত (তাকে) ইমরান মেম্বারের হাতে তুলে দেয়। এর আগেও এ দলটি অপর এক কৃষককে অপহরণ করেছিলো বলো অভিযোগ
এ বিষয়ে রামু থানাধিন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো: সাইফুল ইসলাম বলেন,ব্যবসায়ী আমানুল হককে উদ্ধারে
তিনিসহ পুলিশ দল সারা সাত সচেষ্ঠ ছিলো। অবশেষে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
বিষয়ে ভিকটিমকে মামলার পরামর্শ দেয়া হয়েছিলো। তারা এখনও থানায় পৌঁছে নি।
আপনার মতামত লিখুন :