গর্জনিয়া আলিম মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত।


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ১৩/০৯/২০২২, ৮:৫৯ AM / ১২
গর্জনিয়া আলিম মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত।

আবদুর রশিদ নাইক্ষ্যংছড়ি।

জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে অধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর রামুর গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচন চলাকালিন সার্বক্ষণিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিরুপম মজুমদার, রামু থানার ওসি মো.আনোয়ারুল হোসাইন এবং গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পরিদর্শক মো. মাসুদ রানা।

মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ৬ ক্যাটাগরিতে ৭জন’কে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন মাদ্রাসার অভিভাবকেরা। ভোট গণনা শেষে বিকেল পাঁচটার দিকে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
বিজয়ীরা হলেন- দাতা সদস্য পদে হাজী আবুল কাশেম সিকদার, অভিভাবক (আলিম) সদস্য পদে জয়নাব বেগম, অভিভাবক (দাখিল) সদস্য পদে মোহাম্মদ ওসমান ও আবু দয়ান সিকদার, অভিভাবক (সংরক্ষিত মহিলা) সদস্য পদে খুরশিদা বেগম, শিক্ষক প্রতিনিধি (আলিম) পদে রেজাউল করিম এবং শিক্ষক প্রতিনিধি (ইবতেদায়ী) পদে আলি আহমদ।

এর আগে পদাধিকার অনুযায়ী সচিব (সাধারণ সম্পাদক) পদে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বীতায় শিক্ষক প্রতিনিধি (দাখিল) মাওলানা মো. আইয়ুব, সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক পদে রাজিয়া আক্তার, অভিভাবক সদস্য (ইবতেদায়ী) পদে ইউছুফ সওদাগর নির্বাচিত হন।

উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিরুপম মজুমদার বলেন- গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা নিয়ে দুটি পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলমান রয়েছে। তাই বিধি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিলো। শান্তিপূর্ণ ভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।

তবে সরেজমিনে দেখা যায়- মাদ্রাসার শিক্ষকদের একটি পক্ষ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদের এই ভোট বর্জন করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ- তাঁরা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ না করতেও অভিভাবকদের বাঁধা দেন এবং নির্বাচন হবে না বলে অপপ্রচার চালায়। নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকায় ভোটারের উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না। কিন্তু মাদ্রাসার আশপাশ এলাকায় প্রাণের পরশ বা উৎসবমূখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে।

উল্লেখ্য: ১৯৬৯ সালে গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসাটি প্রতিষ্টিত হয়। এই মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা হলেন গর্জনিয়ার প্রয়াত জমিদার আলহাজ্ব নাজের চৌধুরী।
২০০৪ সালের পর থেকে এই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদ নিয়ে মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ এবং ওবাইদুল হাকিমের মধ্যে দ্বন্দ্ব আরম্ভ হয়। পরে যোগ হয় আরেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম। এসব ঘটনার রেশ ধরে মাদ্রাসার শিক্ষকদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অসংখ্যবার হামলা-মামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সুশীল সমাজের নেতারা গর্জনিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কান্ডে অনেকটা অতিষ্ট।

অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুল হামিদের দাবি- দীর্ঘ বছর পর আইনি লড়াই শেষে মাহামান্য হাইকোর্ট তাঁকে অধ্যক্ষ পদে বহাল রেখেছেন। তাঁর স্বাক্ষরেই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা হচ্ছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের কারণেই সর্বশেষ তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আগামীতে এই মাদ্রাসার পরিবেশকে শান্ত এবং সার্বিকভাবে এগিয়ে নিতে তিনি সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন।

 

 

রামগড় কেন্দ্রীয় কালীবাড়ি পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বিশ্ব ত্রিপুরা , শুভাশীষ সম্পাদক।