গেল দুই দিন পর ফের ঘুমধুম সীমান্তে গুলিবর্ষণ।


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬/০৯/২০২২, ৫:০৩ PM / ২০
গেল দুই দিন পর ফের ঘুমধুম সীমান্তে গুলিবর্ষণ।

৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের গুলিবর্ষণের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ধুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ।

টানা কয়েকদিন গোলাগুলির পর গেল দুইদিন কোন গুলির শব্দ শোনা যায়নি। এতে কিছুটা জনমনে স্বস্তি ফিরে আশে। তবে আকাশের যুদ্ধ বিমান দেখা যাওয়ায় আবারো আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে।

চেয়ারম্যান জানান পূনরায় আজ সকাল থেকে সীমান্ত ঘেষে মিয়ানমারের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। ফলে আবারও স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্কের বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ কেউ ওই এলাকার ছেড়ে শহরের আশেপাশে আশ্রয় নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গতকাল দুইদিন সীমান্ত থেকে কোন গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়নি। এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়াতেই আতঙ্ক কমেছিল স্থানীয়দের। কিন্তু আজ সকাল থেকে সীমান্ত ঘেষে ফের গোলাগুলির শুরু করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মাঝে। এছাড়াও সীমান্তের ঘেষে যারা বসবাস করছেন তারাও গোলাগুলির ভয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় সীমান্তে থাকার বসবাসকারীরা জুম চাষ ও বিভিন্ন ফলজ ফলাদি কাজ করতে যেতে পারছেন নাহ বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা গেছে , ধুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু বাজারের কোনারপাড়া এবং মায়ানমারের ‘খা মং সেক’ পাহাড়ের মাঝখানের জায়গাটুকু নো ম্যান্স ল্যান্ড। এখানে (শূন্যরেখা) আশ্রয়শিবির গড়ে তুলে পাঁচ বছর ধরে বাস করছেন রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত ৬২১টি পরিবারের ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা। সেখানে বসবাসরত রোহিঙারা ওপারে বিকট গুলির শব্দ শুনে ভয়ে কাজে যেতে পারছে না।

ধুমধুম ইউপি সদস্য বাবুল তংচগ্যা জানান, দুই সপ্তাহ ধরে মিয়ানমার ওপারের গুলিবর্ষণ পর দুইদিন সীমান্ত থেকে গুলির শব্দ আসেনি। কিন্তু সকাল থেকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিশেষ করে রেজু আমতলী সীমান্তের কাছাকাছি ওয়ালিডং পাহাড়ের বেশী গুলি হচ্ছে।

এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘সীমান্তে আবারও গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভয়ভীতির কোনও কারণ নেই। আমরা সীমান্তে সর্তক অবস্থানে রয়েছি।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট দুপুরে মায়ানমারের দিক থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল বাংলাদেশ অংশে এসে পড়েছিল। তবে সেগুলো অবিস্ফোরিত হওয়ায় এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা শেলগুলো নিষ্ক্রিয় করেন।

৩ সেপ্টেম্বর রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি মায়ানমার সেনাবাহিনী ২টি যুদ্ধ বিমান এবং ২টি ফাইটিং হেলিকপ্টার আগমন করে। এই সময় যুদ্ধ বিমান থেকে আনুমানিক ৮ থেকে ১০ টি গোলা ফায়ার করেন এবং হেলিকপ্টার থেকেও আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ টি ফায়ার করতে দেখা যায়।

 

 

ফের কাপ্তাই বিএসপিআই এ ছাত্র বিক্ষোভ