মোঃ শহীদুল ইসলাম,বিশেষ প্রতিবেদন।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে এ মুহূর্তে চালের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে।তবু ভরা মৌসুমেও কমছে না চালের দাম।উল্টো মিলগেট, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েই চলেছে।আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএস কার্যক্রম প্রায় ১৩ শতাংশ বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সরকারের নেয়া জনবান্ধন এই কার্যক্রমের আলোকে পার্বত্য বান্দরবান জেলা ও উপজেলা,পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়ে ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে জন প্রতি সর্বোচ্চ ৫ কেজি ৩০ টাকা করে চাল ও ১৮ টাকা করে আটা বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে ওএমএস ডিলারদের বিরুদ্ধে জনসাধারনের জন্য বরাদ্ধকৃত ন্যায্য মূল্যের চাল ও আটা সরবরাহ না করে,নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বাইরে বস্তায় বস্তায় চাউল ও আটা বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরজমিনে দেখা যায় জেলা সদরের পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার আব্দুল জলিল,তার নামে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিদিন ১টন চাউলের বেশির ভাগই সরবরাহ করা হচ্ছেনা সেবা গ্রহিতাদের।ওএমএস এর চাউল নিতে আশা স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন সকাল ১০ টার মধ্যেই চাউল ও আটা বিক্রি বন্ধ করে দেন এই ডিলার, বেলা ১১ টার পর রিক্সাভ্যান,গাড়িতে করে সেই চালের বস্তা পাল্টিয়ে ৭-৮ বস্তা করে পাচার করেন অন্য ওয়ার্ডের দোকানিদের কাছে।তার এই কাজে সহযোগিতার সাথে জড়িত মোঃ সেলিম,সেলিমের সাহায্যেই ডিলার আব্দুল জলিল এতদিন ধরে এসব কাজ পরিচালনা করে আসছে।
নিয়ম নিতির কোন তোয়াক্কা না করে অবৈধ পন্থায় বস্তায় বস্তায় চাউল বিক্রয় করার কারনে ওএমএস এর চাল কিনতে আশা অনেকেই ৫ কেজি করে চাল না পেয়েই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছে।এ বিষয়ে ৭নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর হারুন সরদার এর সাথে কথা বল্লে তিনি বিষয়টি সত্য বলে স্বীকার করেন, এলাকাবাসীর পক্ষে ঐ ডিলারের বিষয়ে অনেক অভিযোগও আছে বলে তিনি জানান।
এদিকে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জাফর আলম,ইব্রাহিম ও নূর জানান ওএমএস ডিলার আব্দুল জলিল এর নামে ২৮শে আগস্ট এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বরাবরে।এছাড়াও চাউল পাচারের ভিডিও ও সিসি ফুটেজ ও দেয়া হয়েছে বলে জানায় এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ জাফর।
ডিলারের কারনে ওএমএস এর চাউল পাওয়া থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে এমন প্রশ্নের মন্তব্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কানিজ জাহান বিন্দু জানান ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আমাদের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তা গন কাজ শুরু করেছে।
জেলা ওএমএস কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক।ঐ ডিলারের বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ হাতে পাননি বলে জানান।তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসেন সমন্বয়ে এ ব্যাপারে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
তবে সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন ওএমএস এর ন্যায্য মূল্যে চাউল বিতরণ এর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং আরো বাড়ানো প্রয়োজন তাহলেই ওএমএস চাউল পাচার কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
তবে নিজের বিরুদ্ধে এসকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলার আব্দুল জলিল।
আপনার মতামত লিখুন :