তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ৩০/১১/২০২১, ৮:২৫ PM / ২২
তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করতে প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর

মোঃ শহীদুল ইসলাম রানা, বান্দরবান সংবাদদাতা:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ইউনিয়নের বেশ কিছু বিস্তীর্ন এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় কৃষকরা করছেন তামাকের চাষ।

শীতের শুরুর দিকে এখানে তামাকের চাষ শুরু হয়। তামাক চাষের ব্যাবস্থাপনার কারনে বেশ কয়েকটি নামি টোবাকো কোম্পানিগুলো এখানে কৃষকদের লোনের সুবিধা  দেখিয়ে স্থানীয় কৃষকদের তামাক চাষে উদ্ভুদ্ধ করে যাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরে।

তামাক চাষে স্থানীয় প্রশাসন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের তামাক চাষে  নিরুৎসাহিত করার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহন করেছে বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুহিবুল ইসলাম।

তিনি প্রতিবেক কে জানান আমরা বিগত সময়েও উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহন, সপমিনার, করেছি।

সরকারের পক্ষ হতে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার মাধ্যমে বিনামূল্যে ভুট্টা, ষরিষা,বাদাম বিজ ও সার বিনামূল্যে প্রদান করার ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।সরকারি এ প্রনোদনা গ্রহণ করলে কৃষকরা লাভবান বেশি হবে।

তবে টোবাকো কোম্পানিগুলো এখানে কৃষকদের মাঝে লোন বিতরনের মাধ্যমে দরিদ্র কৃষকদের কে তামাক চাষে উদ্ভুদ্ধ করে যাচ্ছে ফলে তামাক চাষ সম্পুর্ন ভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না।

স্থানীয় কৃষক মোঃ হানিফ ও মোঃ রহিমুল্লাহ তামাক চাষীরা    জানান ১ একর প্রতি টোবাকো কোম্পানিগুলো আমাদের ১ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেন,প্রথম ধাপে চারা রোপনের সময় এবং ২য় ধাপে জমিতে সার প্রয়োগের সময় সার বাবত।

৬-৭ মাস পর ১ জন তামাক চাষী সেই তামাক পাতা টোবাকো কোম্পানিগুলোর কাছে ২ থেকে ২.২০ লক্ষ টাকায় বিক্রয় করে। টোবাকো কোম্পানিগুলোর ফিল্ড এজেন্সি গুলো কৃষকের মাঝে প্রদানকৃত লোনের টাকা কেটে রেখে অবশিষ্ট টাকা নগদে প্রদান করে যা ৫০-৬০ হাজার টাকার মত।

সনিক্ষায় উঠে আশে এতে ৬-৭ মাস মাঠে কৃষকের পুরো পরীবারের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এক সাথে তারা টাকাটা হাতে পাচ্ছে কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই ৬-৭ মাসের মধ্যে ঐ কৃষকের পরীবারের সদস্যরা তামাক পাতার পরিচর্যা ও চাষে বিসাক্ত রাসায়নিক কিটনাসকের প্রত্যক্ষ ব্যবহারের সাথে জড়িত থাকায় তারা নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার স্বিকার হচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন উপজেলায় তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করার কার্যক্রম চলমান আছে। কৃষকরা যেনো তামাকের পরিবর্তে সরকার প্রদত্ত বিনামূল্যে কৃষি সুবিধার অন্তর্ভুক্ত কৃষি ফসলের চাষাবাদে আগ্রহী হয় সে বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।

যদি কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পন্য সংরক্ষণের জন্য উপজেলার মধ্যে  সংরক্ষণাগারের ব্যাবস্থা ও পন্যের বাজারজাত নিশ্চত করার ব্যাবস্থা করা যায় তাহলে কৃষকরা তামাক পাতা চাষ হতে বিরত থাকবে আগের চেয়ে বেশি।কারন তামাক চাষে লাভের পরিবর্তে ক্ষতিকর বিষয় গুলো বেশি থাকে।

সরজমিনে প্রতিবেদনে স্থানীয় ভাবে তামাকের ব্যাপক চাষাবাদ বন্ধে কৃষকের দাবী উপজেলায় একটি প্যাকহাউস স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে উত্তম কৃষি পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর দৃষ্টি আকর্ষণ ও কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহণের প্রতি জোর দিয়েছেন তামাক কৃষকেরা।