নাইক্ষ্যংছড়িতে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯/১১/২০২৩, ১০:২৯ PM / ৪২
নাইক্ষ্যংছড়িতে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি। 

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ও ঘুমধুমের ৪টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।এসময় বিএইচবি এবং এএসবি নামিয় ২টি ইটভাটায় ২ লক্ষ টাকা করে ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া আরো ২টি ইটভাটার মালিক-কর্মচারি পালিয়ে যাওয়ায় এদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তর সুত্রে।

বৃহস্পতিবার ৯ নভেম্বর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলার সোনাইছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নে অবৈধভাবে গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি ইটভাটায় নতুনভাবে কাজ শুরু করে ভাটা মালিক পক্ষ। খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ ভাবে
অভিযানে নামে।


এছাড়া বিগত মাসেও আরো ২ বার অভিযান চালান উপজেলা প্রশাসন ।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।


এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত সোনাইছড়ি ইউনিয়নের এ এস, বি, ইট ভাটা ও ঘুমধুম ইউনিয়নের আমতলী বি এস বি ইটভাটায় ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে।

এসব ইট ভাটার মালিকেরা অনুমতি না নিয়ে পাহাড় কেটে ও বালু উত্তোলন করে আইন বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বাকী ২টি ইটভাটায় এ এফ ডি ও সাহাব উদ্দিনের ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করার জন‍্য গেলেও তারা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকেই ঘটনাস্থলে পাননি অভিযানিক দলটি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট রোমেন শর্মা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেআইনিভাবে গড়ে উঠা প্রতিটি ইট ভাটার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়াও পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোরভাবে আইনি পদক্ষেপও গ্রহন করবেন বলে ও জানান।


তিনি আরো বলেন, পাহাড় কাটা ও নিষিদ্ধ এলাকায় ইট ভাটা গড়ে তোলার কারণে এ এফ ডি ইট ভাটা এবং সাহাব উদ্দিন ইট ভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে বলেও জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন,অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক,মোঃ ফখর উদ্দিন চৌধুরী ,নাইক্ষ্যংছড়ি থানার সহকারি উপ-পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম সহ আনসার সদস্যবৃন্দ।