পার্বত্য চট্টগ্রামে উঁচুভুমিতে তুলা চাষের মাধ্যমে কার্পাস মহলের ঐতিহ্য পূনরুদ্ধার শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্টিত


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫/০২/২০২২, ৯:১৩ PM / ১৩
পার্বত্য চট্টগ্রামে উঁচুভুমিতে তুলা চাষের মাধ্যমে কার্পাস মহলের ঐতিহ্য পূনরুদ্ধার শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্টিত

মোঃ শহীদুল ইসলাম রানা, বান্দরবান সংবাদদাতা: 

পার্বত্য চট্টগ্রামে উঁচুভুমিতে তুলা চাষের মাধ্যমে কার্পাস মহলের ঐতিহ্য পূনরুদ্ধার শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্টিত হয়েছে। ৪ঠা ফেব্রুয়ারী সকালে  বালাঘাটা বান্দরবান পাহাড়ি তুলা গবেষণা কেন্দ্র মিলনায়তনে দিনব্যাপী   কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আখতারুজ্জামান,নির্বাহী পরিচালক,তুলা উন্নয়ন বোর্ড,খামার বাড়ি, ঢাকা।

মোঃ নাছির উদ্দীন আহমেদ উপ পরিচালক,চট্টগ্রাম অঞ্চল এর সভাপতিত্বে কর্মশালায়  প্রধান অতিথি বলেন তুলা বাংলাদেশের একটি অর্থকরী ফসল দেশের বস্ত্রশিল্পের বিকাশ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশে তুলা উৎপাদনের লক্ষ্যে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে তুলা উন্নয়ন বোর্ড গঠন করেছিলেন।  দেশে দুই ধরণের তুলা চাষ করা হয় সমতল এলাকায় আপল্যান্ড তুলা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এলাকায় পাহাড়ী তুলা চাষ করা হয়।

আপল্যান্ড তুলার ফলন বেশী এবং পাহাড়ী তুলার ফলন কম। পাহাড়ী এলাকায় দিন দিন তুলা চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। তিনি আরো বলেন  বাংলাদেশে স্পিনিং মিলের সংখ্যা ৪৩৯টি,নীটিং ইন্ডাস্ট্রি ১৭০০, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ১৩৪৩ টি ও তাত শিল্পের জন্য প্রতি বছর ২০হাজার কোটি টাকার তুলা আমদানী করতে হয়। সে জন্য বর্তমান সরকার তুলা উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদ্ক্ষেপ গ্রহণ করেছে তুলা উৎপাদনে কৃষক লাভবানও হচ্ছে তিনি উল্লেখ করেন গতবছর তুলা প্রতি মণে দাম ছিল ২হাজার পাঁচ শত চলতি বছর ৩হাজার ৬শত টাকা প্রতিমণ তুলা বিক্রি হয়েছে।  তুলাচাষী  জিন্দ্রীয় ত্রিপুরা বলেন বিঘা প্রতি ৫হাজার টাকা খরচ করে ৪০ হাজার টাকা লাভবান হয়েছেন।  অন্যান্য  বক্তাগণ বলেন কৃষক যে ফসল উৎপাদন করে লাভবান হবে কৃষক সেই ফসলই উৎপাদন করবে। পার্বত্য এলাকায় সাথীফসল একটা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এটাকে কাজে লাগিয়ে তুলাচাষের ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। আদা,  ভুট্টা, মরিচ,ধান,সাথী ফসল হিসেবে  দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এখন আখ চাষের সাথে সাথী ফসল হিসেবে তুলাও চাষ হচ্ছে ।

ভুমি ক্ষয়রোধ করে ভুমিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। সকল সেক্টরকে সমন্বিত উদ্যোগে  সমন্বয়ের সাধন করে কাজ করতে পারলে তুলার ঐতিহ্যকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে,  ওভার ল্যাপিং করা যাবে না। যে প্রযুক্তি কল্যাণকর সেই প্রযুক্তিকে গ্রহন করতে হবে বলে বক্তাগণ অভিমত ব্যক্ত করেন।

কর্মশালায় অংশগ্রহণ কারী বিভিন্ন দপ্তরের কৃষিবিদগণ বলেন তুলা চাষের সময় জুলাই মাসে রোপন করার পর ৫-৬মাসের মধ্য তুলা পরিপক্ক হয়, তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করে তুলা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিং অং খুমী সদস্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, হুমায়ুন কবির, উপ পরিচালক,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বান্দরবান,ডাঃ গোলামুর রহমান, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা,  ডঃ সাফায়েত  হোসেন সিদ্দিকী উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর,বালাঘাটা,বান্দররবান, কৃষিবিদ ক্য ছেন, পরেশ চন্দ্র চাকমা,প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা রাঙ্গামাটি, মোঃমোজাফ্ফর হোসেন, প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা খাগড়াছড়ি,মোঃ আলমগীর হোসেন মৃধা,প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা, কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক,কৃষিগবেষণা ইনিষ্টিটিউট,  মাহাবুব আলম সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা,মৃত্তিকা সংরক্ষণ ইনষ্টিটিউট,মোঃ রফিকুল ইসলাম,উপপরিচালক-কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, মংসানু মার্মা প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পাহাড়ী তুলা গবেষণাকেন্দ্র বালাঘাটা,বান্দরবান,
তুলা চাষী সহ বিভিন্ন মিডিয়ার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকে কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।