পাহাড়ের ওলকচু জেলার চাহিদা পূরন করে বিদেশেওরপ্তানি করা সম্ভব।


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ৩১/০৭/২০২২, ১০:৩১ PM / ১৫
পাহাড়ের ওলকচু জেলার চাহিদা পূরন করে বিদেশেওরপ্তানি করা সম্ভব।

বান্দরবানের আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতা বিবেচনায় এখানের কৃষকেরা ওলকচুর চাষাবাদে বেশ লাভবান হচ্ছে।পুষ্টিগুন বিবেচনায়ও এ সবজিটি সকলের কাছেই বেশ জনপ্রিয়।উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজরে এর চাহিদা থাকায় অনেক কৃষক ওলের চাষ করে লাভোবান হচ্ছেন।

সরজমিনে দেখা যায় জেলার রোয়াংছড়ি,ক্যামলং,ঢলু পাড়া সহ বেশ কিছু এলাকায় স্থানীয় বসবাসকারী পাহাড়িরা তাদের কৃষি জমিতে এবার ওলকচুর চাষাবাদ করেছে।

জেলা সদরের রোয়াংছড়ি উপজেলার,জামছড়ির স্থানীয় একজন কৃষক মংসিংনু মার্মা তার ১ কানি জমিতে ওলকচুর চাষাবাদ করেছে।
এ বছর তার এক কানি জমি হতে ১৬০-১৮০ মন ফলন উৎপাদনের আশা করছেন স্থানীয় এই কৃষক।
তিনি জানান ওলকচু চাষের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে লাভোবান হয়েছেন জেলার অনেক কৃষক।

এ বিষয়ে কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বল্লে তারা জানান সাধারণত চৈত্র-বৈশাখ মাসে ওলকচু লাগানো হলেও ভালো দাম পেতে হলে আগাম চাষের জন্য মাঘ-ফাল্গুন মাসে লাগানো উত্তম। সব ধরনের মাটিতেই ওল চাষ করা যায়।তবে উচু জমি, যেখানে পানি জমে থাকে না এমন জায়গায় ওলকচু লাগানোটাই উত্তম।

এক একটি প্রাপ্ত বয়স্ক ওলকচুর ওজন প্রায় তিন থেকে চার কেজি ওজনের হয়।কৃষকেরা জানান সাধারণত প্রতি মন ওলকচু পাইকারদের কাছে এক হাজার টাকা করে বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় খুচরা বাজারে যা দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে পাইকারী ব্যাবসায়িরা।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক জানান গত বছরে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ওলকচুর আবাদ হয়েছে ৪৪ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন ছিলো ৬০০০ মেঃটন ওলকচু।চলতি বছরে এর পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে আবাদ হয়েছে ৫০ হেক্টর জমিতে।এবং চলতি বছর এই সেক্টরে উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬৬০০ মেঃটন ফলনের।

তিনি আরো জানান বান্দরবান জেলার মধ্য সদর ও রোয়াংছড়িতে এ বছর ওলকচুর বেশি আবাদ হয়েছে।পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর চাহিদা থাকায় তা রপ্তানিও করা হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কন্দাল ফসলের আবাদ বৃদ্ধি প্রকল্পের প্রয়োজনীয় ওলকচু পার্বত্য এলাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে।