পাহাড়ের ভক্ত আর জনসমাগমের পদচারণায় প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন। 


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫/১০/২০২২, ৮:৪০ PM / ১৫
পাহাড়ের ভক্ত আর জনসমাগমের পদচারণায় প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন। 

চাইথোয়াইমং মারমা রাঙ্গামাটি বুর‍্যো।

পাহাড়ের শত শত পাহাড়ী বাঙালী আর ভক্তদের উপস্থিতিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রদান উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন। এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে দুর্গোৎসবের। ধরণীতে থাকা তার সন্তানদের আশীর্বাদ করে কৈলাসে ফিরে গেলেন দেবী দুর্গা। বিসর্জন উপলক্ষে রাজস্থলী বাজার হরি মন্দির সংলগ্ন পুকুরে পাহাড়ী বাঙালী আর ভক্তদের ঢল। এ উপলক্ষে নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আজ বুধবার (৫ অক্টোবর) ছিল প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া দশমী। বুধবার সকাল থেকে রাজস্থলী উপজেলার তিন টি মন্দিরের পূজামন্ডপগুলোতে বিরহের সুর বেজে ওঠে। মা দেবী দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে সন্তানদের আশীর্বাদ করে।

সকাল তিন টি পূজামন্ডপগুলোতে ভক্তদের মাকে বিদায় দেওয়ার অশ্রুসিক্ত প্রদ্ধাঞ্জলি দিতে দেখা যায়।
বুধবার বিকালের পর থেকে রাজস্থলী হরি মন্দির মন্ডপ থেকে প্রতিমা বহনকারী ভ্যানগাড়ী নিয়ে শোভা যাত্রার পর পুকুরের দিকে আসতে থাকে। পুরো উপজেলা জুড়ে নেয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিকেল ৪টার পর থেকে বাজার পুকুরে ভক্ত আর পাহাড়ী বাঙালীর পদচারণায় লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। উপজেলা থেকে বাজারের মোর পর্যন্ত সনাতন ধর্মবলম্বী, পাহাড়ী বাঙালীর আগত ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিসর্জন হলেও বাজার পুকুরে নানা ধর্ম-বর্ণ মানুষের মিলন ঘটে। বিসর্জন দেখতে আসা তাইতং পাড়া এলাকার সামাপ্রু মারমা বলেন, আমরা বন্ধু-বান্ধব প্রতিবছরই বিসর্জন দেখার জন্য এ মন্দিরে আসি। এবারও এসেছি। অনেক ভালো লাগছে।

রাজস্থলী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শম্ভু নাথ বলেন, আমরা চেষ্টা করি শান্তিপূর্ণভাবে বিসর্জন শেষ করতে। নানা ধর্ম-বর্ণ মানুষের সহযোগিতায় আমরা এটা করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে।তিনি বলেন আরো দুই টি মন্দিরের মন্ডপের বিসর্জন বৃহস্পতিবার বিকাল বেলায় দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের নানা আয়োজনে ৫ দিন ব্যাপী হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আনন্দ মুখরিত পরিবেশের পূঁজা উদযাপন করা হয়েছে, এখানে ২ টি প্যান্ডেল লাইট আলো সাজসজ্জা মধ্যে সাজানো পূঁজা মন্ডল তৈরি বাঙালহালিয়া বাজার কালি মন্দির ও ছাগলখাইয়া কালি মন্দির পূঁজা মন্ডল উদযাপন করা হয়েছে বলে, দুর্গোৎসব পূঁজা কমিটি সভাপতি অজয় দে ও পাপেল দে গণমাধ্যম কে জানান।

সরকার প্রধান জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখহাসিনা স্লোগান বলেন এদেশের সকল সম্প্রদায়ের শান্তি শৃঙ্খলা পরিবেশে যার যার ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারবেন। এখানে কোন অরাজকতা সৃষ্টি যাতে কোন কিছু করতে না পারে, পূঁজা প্যান্ডেল নিরাপত্তা জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ হয়, এবং প্রতিটি পূঁজা মন্ডবে আইনশৃংখলার বাহিনী আনসার ভিডিপি সহ পুলিশ বাহিনী নিরাপত্তা জোর দার করা হয়েছে।

শান্তি শৃঙ্খলা পরিবেশ মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোসৎব সারাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে পাহাড়ের পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্গোৎ মাকে ঢুল বাজিয়ে শেষ বির্সজন করতে দেখা গেছে। এখানে ছোট বড় শত শত জনসাধারণ ও সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতীমা কে দেখতে আসে, এবং উপভোগ সমাগম হয়েছে।

 

 

 

কাপ্তাইয়ে কর্নফুলি নদীতে নৌ বিজয়া র‍্যালীর মাধ্যমে প্রতিমা বির্সজন করলো ভক্তরা।