পাহাড়ে মাল্টা চাষে নতুন সম্ভাবনা -দেশের চাহিদা পূরন করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব বল্লেন সংশ্লিষ্টরা।


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ২৭/০৭/২০২২, ৩:৩৫ PM / ১৪
পাহাড়ে মাল্টা চাষে নতুন সম্ভাবনা -দেশের চাহিদা পূরন করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব বল্লেন সংশ্লিষ্টরা।

পার্বত্য বান্দরবানের মাটি ও জলবায়ু মাল্টা চাষে উপযুক্ত।এসিডিক মাটি হওয়ার কারনে পাহাড়ি এই জনপদে লেবুজাতীয় ফসলের আবাদ খুবই লাভজনক।

বর্তমানে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বারি মাল্টা -১ এর চাষাবাদ বেশি হয়েছে।সবুজ আবরনের বারি মাল্টা-১ পুষ্টি গুন বিবেচনায় ও খেতে রসালো হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চাহিদা পূরন করে জেলার বাইরেও যাচ্ছে।সরজমিনে জেলা সদরের জামছড়ি পাড়া,লক্ষীমোহন পাড়া,চেমিডলু,কিবুক পাড়া,১২ মাইল এলাকা,রাজবিলা সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বারি মাল্টা-১ এর চাষাবাদ করেছেন স্থানীয় কৃষকেরা।মাল্টার চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন অনেক কৃষক,আর তাই প্রতি বছর নতুন নতুন জমিতে মাল্টা ও কমলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

জেলার ৭ টি উপজেলায় লেবু জাতীয় ফসলের মধ্যে বারি মাল্টা-১,বাতাবি লেবু,১২ মাসি লেবু,কলম্বো লেবু এবং ইদানীং ভিয়েতনামি মাল্টা চাষ সম্প্রসারণ করা হয়েছে আগের চেয়ে আরো বেশি।বিশেষ করে প্রদর্শনী ভুক্ত কৃষকদের চাহিদা মাফিক পাঁচ শতক থেকে শুরু করে এক একর পর্যন্ত জমিতে লেবু জাতীয় ফসল মাল্টার চাষাবাদে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন সময় দেয়া হচ্ছে উচ্চ ফলন মাল্টা চাষাবাদের প্রশিক্ষণ,বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে চারা,ষাড় ও বালাই নাষক স্প্রে মেশিন।

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরবর্তীকালে কৃষকেরা গ্রাফটিং বা কলমের মাধ্যমে কিভাবে নতুন গাছের চারা উৎপাদন করতে পারে সে বিষয়েও দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ।পার্বত্য বান্দরবানে চলতি বছরে ৪৫২ হেক্টর পাহাড়ি ও সমতল জমিতে মাল্টার আবাদ হয়েছে,বিশেষ করে বারি মাল্টা-১ এর আবাদ বেশি হয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দেয়া তথ্য মতে জেলায় গত বছর মাল্টার উৎপাদন ছিলো ৬ হাজার মেঃটন চলতি বছরে উৎপাদন লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় হাজার ছয়শত মেঃটন।

তবে এ বছর আবহাওয়ার কারনে বৃষ্টিপাতের পরিমান কম হওয়ায় মাল্টা চাষে কিছুটা অসুবিধার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা।তবে কৃষি অফিস বলছেন বৃষ্টি পাত কম হলেও পার্বত্য অঞ্চলের জলবায়ু ও মাটির কারনে এ বছরেও মাল্টার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ছাড়াবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক ভোরের দর্পন কে বলেন মাল্টা বর্তমানে লাভজনক একটি লেবু জাতীয় ফসল।দেশের চাহিদা পূরনে প্রতি বছর লেবু জাতীয় ফসল মাল্টা ও কমলা আমদানি করা হয় ৩শত থেকে ৪শত কোটি টাকার মতো।বর্তমান সরকারের মূল উদ্দেশ্য বিদেশ হতে আমদানি কমিয়ে দেশীয় কমলা ও মাল্টার উৎপাদন বৃদ্ধি করা।সেই লক্ষেই জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা কৃষি অফিস সমূহ কাজ করে যাচ্ছে।কৃষকদের উন্নত চাষাবাদ প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণের ফলে অনেকেই মাল্টা চাষে লাভজনক হয়েছেন।

 

 

আরো পড়ুন –পাহাড়ীদরে পাশাপাশি বাঙ্গালীদের পছন্দরে সবজি বাঁশ কোড়ল।