প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিষন ২০৪১ বাস্তবায়নে অবদান রাখবে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার – পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬/০৩/২০২২, ১২:৪০ AM / ১৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিষন ২০৪১ বাস্তবায়নে অবদান রাখবে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার – পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং

মোঃ শহীদুল ইসলাম রানা, বান্দরবান সংবাদদাতা:

বাংলাদেশে গত এক দশকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে এরই ধারাবাহিকতায় বান্দরবানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়,বান্দরবান এর আয়োজনে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে ৫ই মার্চ শনিবার সকালে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বর্নাড্য আয়োজনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে প্রথম আধুনিক আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার এর যাত্রা শুরু করলো।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিকর্ন কুমার ঘোষ,ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১),বাংলাদেশ হাইটেক কর্তৃপক্ষ,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জিয়াউল হক,এনডিসি,এএফডব্লিউসি,পিএসসি,রিজিয়ন কমান্ডার ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড,জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজী,পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার (বিপিএম),অধ্যাপক ড.এ.এফ.ইমাম আলী,উপাচার্য,বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৌয়দ মোঃ রফিকুল ইসলাম,এসপিপি,ব্যাবস্থাপনা পরিচালক,বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেড,ক্যা শৈ হ্লা,চেয়ারম্যান,পার্বত্য জেলা পরিষদ,বান্দরবান,মোহাম্মদ ইসলাম বেবী,মেয়র,বান্দরবান পৌরসভা।

হাফেজ মাওলানা আজিজুর রহমানের মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সুচনা হয়। সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি বলেন আমরা খুবই আনন্দিত পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ডিজিটাল বাংলাদেশের সপ্ন দ্রোস্টা,আধুনিক বাংলাদেশর স্থপতি বঙ্গবন্ধু তনয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  সারা বাংলাদেশের মাঝে বৌসম্য দুর করে একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন সেটারি তরুনদের কর্মসংস্থানের নতুন ঠিকানা হচ্ছে এই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার।

তিনি আরো বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সচিব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেইন চাইল্ড এই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার,আমরা আশা করছি ৬৪টি জেলায় এই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মান কাজ শেষ হলে প্রতি বছর লক্ষাধিক তরুন তরুনীর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারবো এবং ৪১ সাল নাগাদ জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গডার মিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের সেই লক্ষ্য পুরনে  শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন ১৯৯৭ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে পার্বত্য অঞ্চলেও প্রযুক্তির প্রসার ঘঠেছে,শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মান কাজ শেষ হলে পার্বত্য অঞ্চলের যুবসমাজের প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের পথ আরো সুগম হবে এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিষণ ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন বাংলাদেশে গত এক দশকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে৷ মোবাইল ফোন এবং তার পরে ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন জনগোষ্ঠীর একটি বিশাল অংশ সরাসরি তথ্য প্রযুক্তি সাথে জড়িত।   কিন্তু এত বিশাল সংখ্যক মানুষ এই প্রযুক্তির আওতায় এলেও  এই খাতে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি৷

দক্ষ আইটি যুবসমাজ গড়ে তুলতে পারলে আমাদের দেশে আইটি  ইন্ডাট্রিজ স্থাপন করলে দেশের কর্মসংস্থান বেড়ে যাবে। অপর দিকে হাইটেক পার্কগুলো দেশের যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিশ্বমানের কোম্পানীতে কাজ করার মত উপযোগী করে তুলবে। এধরনের পরিস্থিতিতে দেশের মধ্যে নতুন নতুন উদ্যোগতাও সৃষ্টি হবে। অত্যাধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তিগত সেবা ও হাইটেক ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি তৈরির কাজ কাজ করবে এই শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার।