বান্দরবানে কাজু বাদামে নতুন সম্ভাবনা


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ১১/০৮/২০২২, ৯:৩১ PM / ১৭
বান্দরবানে কাজু বাদামে নতুন সম্ভাবনা

দেশীয় কাজু বাদামের ফলন ও বাজারে ভালো চাহিদা থাকায় পাহাড়ে সম্ভাবনার নতুন স্বপ্ন বুনছে চাষীরা।
বান্দরবান জেলার প্রায় সবগুলো জেলাতেই এখন কাজুবাদামের চাষাবাদ হচ্ছে।তবে তুলনামূলক ভাবে রুমা ও থানচি উপজেলায় দেশীয় কাজুবাদাম চাষ বেশি হয়।

জানা যায়, একসময় শুধু জুম চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন পাহাড়িরা। দিন দিন জুমের জায়গা সংকুচিত হওয়ার কারণে এখন পাহাড়ীরা স্থায়ী ফলদ বাগান করার দিকেই ঝুঁকছেন। পাহাড়ে কলা, আম, কুল, কাজু বাদাম ভালো উৎপাদন হয়। এছাড়া অধিকাংশ চাষীরাই কাজু বাদাম সংগ্রহ করে বাজারজাত করা শুরু করেছেন, দামও ভালো পাচ্ছেন।

রুমা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কাজু চাষ হলেও থানছি উপজেলায় রাস্তার ধারে দেখা মেলে ছোটবড় কাজু বাদাম বাগানের।জৈষ্ঠ্যমাসে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি এই ফলও অপরিপক্ক হয়ে পাকতে শুরু করে।এতে থোকায় থোকায় ঝুলতে দেখা যায় লাল, হলুদ রঙের পাঁকা কাজু বাদাম। স্থানীয় ভাষায় এটি টাম নামে পরিচিত , কেউ আবার কেসনাটও বলেন।

চাষিরা জনানা এলাকায় এখন কাজু বাদাম চাষের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চাষিরা কাজু বাদাম চাষে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছেন। বাজারে ন্যায্য মূল্য পেলে আরো অনেকেই কাজুবাদাম চাষে আগ্রহী হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পক্ষ হতে সরকারি ভাবে শুষ্ক মৌসুমে বাগানে পানি,সেচ,ষার এর সহযোগীতা পেলে উপকৃত হবে কৃষক।

এদিকে চাষিদের কাছ থেকে মণ প্রতি ৩ হাজার তিন শত থেকে ৩ হাজার পাঁচশত টাকা করে কাজু বাদাম কিনছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ এগ্রিকালচার প্রোডাক্টস লিমিটেড এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর রেম্বো ত্রিপুরা।

বান্দরবান কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সাত উপজেলায় দুই হাজার আটশত বিয়াল্লিশ জন কাজু বাদাম চাষি আছেন। মোট এক হাজার আটশত সাঁইত্রিশ হেক্টর জায়গায় কাজু বাদাম চাষ হচ্ছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১ হাজার ২১২ মেট্রিকটন উৎপাদন হয়েছিল। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে এক হাজার ৩২৩ মেট্রিক টন কাজুবাদাম উৎপাদন হওয়ার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১.৩১ মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদন হবে মর্মে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী পর্যায়েও কাজুবাদাম এর চারা উৎপাদন ও বিপনন করা হয়। বান্দরবান সদর উপজেলা সুয়ালক ইউনিয়নে এলএ এগ্রো কোম্পানির নার্সারীর ব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল জানান, তাদের নার্সারি থেকে বিশ্বের উন্নত জাতের গ২৩ কাজু বাদামের চারা প্রতি পিস ১৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন। গত বছর ১ লক্ষ চারা বিক্রি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি ।

বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ জেলার মাটি কাজু বাদাম চাষের উপযোগী হওয়ায় ভালো ফলন পাচ্ছেন চাষীরা।এ জন্য পার্বত্য জেলা বান্দরবানে দিন দিন কাজুবাদামে আবাদ বৃদ্ধি হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে চাষিদেরকে সার, কৃষি উপকরণ প্রদান সহ সার্বিক পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে কাজু বাদাম গাছে পানি সেচ ব্যবস্থা করার জন্য বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

 

আলীকদমের গনধর্ষণ মামলার আসামি ১০ বছর পর গ্রেপ্তার।