বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড় “মিধিলা”র প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে ১৯শে নভেম্বর পর্যন্ত


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ১৭/১১/২০২৩, ২:১০ PM / ৩০
বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড় “মিধিলা”র প্রভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে ১৯শে নভেম্বর পর্যন্ত

মোঃ শহীদুল ইসলাম, জয়বাংলা নিউজ ডেস্ক। 

 

ঘূর্ণিঝড় “মিধিলা” এর প্রভাবে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে গত দুই দিন হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।বৃষ্টিপাতের কারনে স্বাভাবিক জনজীবনে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের দেয়া তথ্য মতে আগামী ১৯শে নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে,এছাড়া বৃষ্টিপাতের কারনে জেলার পাহাড় অধ্যুষিত এলাকায় ভূমি ধ্বসের সম্ভাবনা আছে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর,বান্দরবান এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মন্ডল।তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বড় কোন ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন না বলে নিশ্চিত করেন এই কর্মকর্তা।

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া বিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এর স্বাক্ষরিত এক আবহাওয়া সতর্কতা বার্তায় জানানো হয় গভীর নিম্নচাপ এর প্রভাবে গত ১৬ নভেম্বর বিকাল ৩ টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা,খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮মি.মি.) থেকে অতি ভারী (৮৯মি.মি. বাতারও বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ী এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ (MIDHILI) উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২০.৩° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.৬° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ ১৭ নভেম্বর সকাল ৯ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯৫ কি.মি. পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকেঅগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা নাগাদ খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রপ্রান্ত দুপুর নাগাদ উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপরদিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (২ ৮৯ মি.মি.) বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ (চার) নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।