নিজস্ব সংবাদদাতা।
আইনের তোয়াক্কা না করেই অপরাধী কে নিজের খেয়ালখুশি মতো ছেড়ে দেয়ার প্রমান মিলেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার ৫ই অক্টোবর দুপুরে বান্দরবান পৌরসভার আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে টমটম স্টেশনে মদ সহ হাফেজগোনা এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম (৫০) কে আটক করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,বান্দরবান কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম,কিন্তু অজ্ঞাত কারনে তাকে গ্রেফতার না দেখিয়ে,আলামতের সিজার লিস্ট না করে,বিজ্ঞ কোন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়াই,উপস্থিত সকলের সামনে আলামত নিজে নষ্ট করে তাকে ছেড়ে দেয়।
একই দিনে ট্রাফিক মোড় নতুন ব্রীজ সংলগ্ন
মোহাম্মদ পুর এলাকায় ছমির চন্দ্র দাশ(৩২) নামে এক যুুবকের বাসায় মাদক সন্ধানে অভিযান চালায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,বান্দরবান কার্যালয়ের সাব-ইনেসপেক্টার সিরাজুল ইসলাম,অভিযান চালানোর সময় সাথে ২ জন সিপাহি থাকা সর্তেও বাসা তল্লাশি তিনি নিজেই একা করেন।
ছমির চন্দ্র দাশের দেয়া বক্তব্য অনুযায়ী তার বাসায় তল্লাশী চালিয়ে একটা সিগারেট গাঁজা পায়,এবং তাকে জেলের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে,তাকে সিরাজুলের মোবাইল নাম্বার দিয়ে পরে ফোন করতে বলে, তাকে গ্রেফতার না করে ছেড়ে দেয়।বাসা তল্লাশী করে চলে যাওয়ার পর ছমির চন্দ্র দাশ নিজের বাসা এলোমেলো হওয়ায় তা ঠিক করতে যায় তখন তার বাসার বিছানার নিচে রাখা প্রায় ২০ হাজার টাকা খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি প্রতিবেদক কে অবগত করে।
উল্লেখ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৩ ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ আছে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর তাহার নিজের মুচলিকা অথবা জামিন অথবা কোন ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদেশ ছাড়া ঐ ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া যাইবে না এবং আইনে আরো উল্লেখ আছে যে যদি কোন ব্যক্তি বা অফিসার কারো বাসস্থান তল্লাশি করে, তাহলে অবশ্যই স্থানীয় দুইজন সাক্ষীকে সাথে নিয়ে তার ঘরে প্রবেশ করতে হবে।
আইনে উল্লেখিত কোনটাই মানেন নি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম।
একই দিনে দুই জায়গায় অভিযান করে দুই জায়গায় আসামিকে হাতেনাতে আলামত সহ ধরার পরও কোন জব্দ তালিকা প্রস্তুত না করে,নিয়মতান্ত্রিক আইনের প্রয়োগ না করে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।
বিষয়টি নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বান্দরবান কার্যালয়ের উপ-পরিদর্শক মোঃ আফজাল হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার সাক্ষীর কাজে জেলার বাইরে থাকার কথা জানান।
এ বিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর,বান্দরবান কার্যালয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক মোঃ রুহুল আমিনের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান জেলার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণ আইনের ব্যথয় ঘটনো কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য না।এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :