বান্দরবান সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের নবনির্মিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন পার্বত্য মন্ত্রী


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ১৮/১২/২০২১, ১০:৩১ AM / ১৬
বান্দরবান সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের নবনির্মিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন পার্বত্য মন্ত্রী

মোঃ শহীদুল ইসলাম রানা, বান্দরবান সংবাদ দাতা:
পার্বত্য বান্দরবানে ৬৪ টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রায় দশ কোটি দশ লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার পাঁচশত (১০১০৪৭৫০০) টাকা ব্যায়ে বান্দরবান সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ৭ তলা বিশিস্ট একাডেমিক কাম ওয়ার্কশপ  ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১১ টায় বান্দরবান জেলা সদরের মেঘলা পর্যটন স্পট সংলগ্ন বান্দরবান সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ এর কলেজ ক্যাম্পাস মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

মন্ত্রীর আগমনে কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যামপাসের দুই পাশে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি বৃন্দদের ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানায়।

প্রকৌশলী নুরুল হাকীম,অধ্যক্ষ,বান্দরবান সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজী,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল কুদ্দুস। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  বান্দরবান সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক,ছাত্র ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস্ ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন বঙ্গবন্ধু  কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সকল ক্ষেত্রে।পার্বত্য বান্দরবানে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায়  ১৪ টি কলেজ স্থাপন হয়েছে।

জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় টেকনিক্যাল কলেজ গড়ে তুলা হবে যাতে ছাত্ররা চাকরির পেছনে না দৌড়ে নিজের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের ছেলে মেয়েরা দেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে নেতৃত্ব দিবে যদি আজকের ছাত্র সমাজকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজী বলেন ছাত্র জীবনের একটা লক্ষ থাকতে হবে,যদি লক্ষে অটুট থাকা যায় তাহলে ছাত্র জীবনের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কাংখিত লক্ষে পৌছানো সম্ভব।আমরাও গ্রামে বড় হয়েছি এবং জীবনে লক্ষ নির্ধারন করে লেখাপড়া করেছি তাই ছাত্র সমাজের উচিত জীবনের লক্ষ নির্ধারন করা।