লামা ফাঁসিয়াখালীতে দ্বিখণ্ডিত গরুসহ ৩ চোর আটক


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ২৭/০৬/২০২১, ১২:০৯ AM / ১২
লামা ফাঁসিয়াখালীতে দ্বিখণ্ডিত গরুসহ ৩ চোর আটক

মোঃ শফিকুর রহমান (বান্দরবান প্রতিনিধি):
লামা উপজেলা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম এর রবার বাগান থেকে একটি গরু (ষাঁড় ) জবাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় ৩ চোরকে আটক করেছে জনতা। এসময় লেগুনা গাড়ি (ছাড়পোকা) যার নাম্বার কক্সবাজার ছ- ১১০৪৫৮ থেকে জবাইকৃত মস্তক বিহীন ১টি গরুর বস্তাবন্ধি দ্বিখন্ডিত অংশ সহ ৩ চোরকে আটক করে স্হানীয় জনতা। খবর পেয়ে লামা থানার পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এবিষয়ে গরুর মালিক নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে শনিবার ( ২৬ জু ২০২১ ইং) বিকেলে লামা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটককৃত ৩ আসামীকে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, শনিবার (২৬ জুন) সকাল আনুমানিক ৬ টায় লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ডান হাতির ছড়া এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম এর রাবার বাগান এর পাশ থেকে কাটা গরুর অংশসহ ড্রাইভার মোঃ তৌহিদকে আটক করা হয়। বাকি ৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
পরে স্হানীয় জনগণ ধাওয়া করে অপর ২ চোর কে আটক করলেও হাসান পালিয়ে যায় বলে জানায় অপর দুই চোর।

আটককৃত গরু চোর হল- চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নে চরণদ্বীপ ৯নং ওয়ার্ডের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান (২৮), একই উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নে চরণদ্বীপ ৮ নং ওয়ার্ডের মৃত ইসমাইল এর ছেলে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম ( ড্রাইভার) (২৫) ও লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ডান হাতির ছড়া এলাকার মোঃ কফিল উদ্দিনের ছেলে মোঃ শাহেদ প্রকাশ জুয়েল (১৯)।

গরুর মালিক নুর মোহাম্মদ জানান, ২৫ জুন শুক্রবার সকাল ১০টায় ডান হাতির ছড়াস্থ কোরবান আলীর কৃষি জমিতে তার পালিত কালচে খয়েরী ষাঁড় গরুটি ঘাস খেতে দিয়ে আসে। বিকাল সাড়ে ৫টায় তার ছেলে রবিউল কাদের ও স্ত্রী গরু আনতে গিয়ে দেখে গরুটি নেই। অনেক খোঁজাখুজি করেও তারা গরুটি পাইনি। শনিবার (২৬ জুন) সকাল ৭টায় লোক মুখে খবর পায় তার চুরি হওয়া গরুটি জবাইকৃত অবস্থায় মস্তক বিহীন দ্বিখন্ডিত করে প্লাস্টিক ২টি বস্তায় ডুকিয়ে একটি লেগুনা গাড়িতে করে ৪ জন চোর নিয়ে যাচ্ছে। জনতা তাদের আটক করে। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এই বিষয়ে লামা থানায় একটি চুরির মামলা করেছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বলেন, পুলিশ দ্রুত ও যথাসময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না হলে জনতা ৩ চোরকে গণপিটুনী দিয়ে মেরে ফেলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। শতশত মানুষ গরু চোরদের দেখার জন্য সেখানে উপস্থিত হয়। পরে জবাইকৃত মস্তক বিহীন গরুটি একজনের জিম্মায় দিয়ে তিন আসামীকে থানায় নিয়ে আসি।