জাহিদ হাসান,লামা প্রতিনিধি।
লামায় মনগড়া ইস্যু তৈরি করে কিছু সহজ সরল মুরুংকে উস্কে দিয়ে রাবার শিল্প ধ্বংসের চক্রান্তে নতুন সংযোজন মন্দির ভাঙ্গার নাটক যুক্ত হলো। লামা রাবার মালিকদের বিরুদ্ধে মন্দির ভাঙ্গার আরেকটি মিথ্যা মামলায় জড়িত করার নাটক চলছে। এ সব মিথ্যা চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে অতীতে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নাটকবাজরা। লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির মালিকরা জানান, একশ্রেণীর নামধারী মানব সেবা সংগঠনের মদদে রাবার বাগান ধ্বংসসহ মালিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনা রটিয়ে চলছেই। নেপথ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, রাবার খাতে লামায় আগ্রহ হারাবে বিনিয়োগকারীরা। জানাযায়, লামা উপজেলান সরই ইউনিয়নে লামা রাবার বাগান এলাকায় টানা ৫/৬ বছর ধরে ক্রমান্বয়ে ৩৬ টি উপজাতি পরিবার বসতি গড়ে তোলে। ইতিমধ্যে সেখানে রাবার বাগানে একটি বৌদ্ধ মন্দির ও একটি গীর্জা নির্মিত হয়েছে। অতি সম্প্রতি লামা রাবারের পুরাতন বাগানের অদূরে ৮ ফুট বাই সাত ফুট একটি লেভার সেটের (বাঁশ পলিথিনের ঝুপড়ি) সামনে “অশোক মন্দির” লেখা ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয়। দু’দিন পর আবার রংধজনগং সেটা ছিড়ে ফেলে এবং পলিথিনের ছাউনিটিও টেনে ফেলে দেয়। লামা রাবার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, এর পর এটাকে নাটক সাজিয়ে মন্দির ভাঙ্গার মিথ্যা অভিযোগ তোলে লামা রাবারের বিরুদ্ধে। গত ১৩ আগষ্ট সাংবাদিকরাসহ প্রশাসনের কয়েকজন সেখানে গিয়ে পাড়ার মুরুংদের সাথে আলাপকালে, মন্দির ভাঙ্গার বিষয়ে তাদের বক্তব্য তিন ধরনের সময় তারিখ প্রকাশ পায়। সেখানকার বাসিন্দারা জানান, এটা যে বিশেষ মহলের ক্রীড়ানক রংধজনের নাটক সেটা পরিস্কারভাবে বুজা গেছে। কারন রংধজন এর আগেও একটি প্রেম সঙ্ঘাতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি মারামারির ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেই মারামারির দায়ভার লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি লিঃ এর উপর চাপিয়ে দিয়েছিল। যা স্থানীয় নেতৃ্ৃবৃন্দসহ প্রশাসন জানেন। এভাবে একের পর এক হামলা, মিথ্যা মামলা, মনগড়া ইস্যু বানিয়ে মানববন্ধন, লীজ ভূমি দখল, বাগান পুড়ে দেয়া, নির্বিচারে রাবার গাছ কেটে দেয়া, সশস্ত্র মহড়াসহ, ৩০৩ ডলু মৌজা হেডম্যান যোহান ত্রিপুরার নেতৃত্বে উপজাতি সন্ত্রাস রংধজন ও মতি ত্রিপুরা গং এর চাঁদাবাজিতে অস্থির লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি লিঃ এর মালিক পক্ষ। লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির শেয়ার হোল্ডারগন সরকার থেকে ১৬ শ্ ২৫ একর একর পাহাড়ি ভূমি লীজ নেন। বর্তমানে চার শ্ একর ভূমিতে তাদের সৃজিত রাবার গাছ কেটে উপজাতিরা দখল করে নিচ্ছে। এই দখল সন্ত্রাসী ঘটনাকে আড়াল করার জন্য তারা নিত্য নতুন নাটক বানাচ্ছে বলে জানান, লামা রাবার ম্যানেজার। তিনি আরো জানান, এসব উপজাতিদের ব্যবহার করে লামা রাবারের প্রতিবেশি আলোচিত একটি প্রতিষ্ঠান এসব করাচ্ছেন। জানাযায়, গত কয়েকদিন আগে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির ২১ সালে সৃজিত বাগানে আট হাজরেরও বেশি গাছ কেটে দিয়েছে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, নাটকবাজ সন্ত্রাসী রংধজন এখন আবার রাবার শ্রমিকদের একটি বাঁশ পলিথিনের জরাজীর্ণ ঘরকে অশোক মন্দির দাবি করে, সেটা নিজেরাই ভেঙ্গে দিয়ে জঙ্গলে দাড়িয়ে মানববন্ধন করে। তারা ১৪ আগষ্ট দুর্গম মেরাইত্যা নামক স্থানে কিছু লোকজন ডেকে অশোক মন্দির ভাঙ্গার কথিত অভিযোগ তুলে রংধজনের নেতৃত্বে লামার রাবার ইন্ডাস্ট্রির মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন-প্রতিবাদ সভা করেন। স্থানীয়রা জানায়, ১৬ আগষ্ট পার্বত্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিরোধ নিরসনে সভার ঠিক দু’দিন আগে এই নাটক করার অর্থ কি ছিল, সেটাও প্রমান হয়েছে। কোম্পানীর লোকেরা জানান, রংধজন গং এর সশস্ত্র মহড়ার কারণে লামা রাবারের লোকজন গত কয়েকমাস ধরে তাদের ২১ সালে সৃজিত বাগান এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেন না। সেখানে কি চলছে তা দূর থেকে দেখা ছাড়া তাদের কিছু করার ছিল না। ইন্ডাস্ট্রির এমডি-শেয়ার হোল্ডারগন জানান, একটি মহল কতিপয় গুরুর ঈশারায় তার লোকেরা, উপজাতিদের ব্যবহার করে লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি লিঃ ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়নে উঠেপড়ে লেগেছে। এখন এই বিশাল দীর্ঘ মেয়াদি কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী শিল্প বন্ধ কষ্টসাধ্য। তারা জানান, এই মূহুর্তে সরকারের উচিত, এর সঙ্গে জড়িতদেরকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। তা না হলে, লামায় সম্ভাবনাময় রাবার শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।
স্থানীয়দের মতে, পরিস্থিতি এমন হলে পার্বত্য লামায় বহু শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ার পাশাপাশি রাবার আমদানি খাতে সরকারের বড় ধরনের আর্থিক ধ্বস নামবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন মহল নজর দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। একই সাথে মন্দির ভাঙ্গার মিথ্যা নাটকের মূল হোতাকে চিহ্নিত করে সত্য ঘটনা উদ্ঘাটন করার দাবি উঠেছে।
পৌর এলাকায় ফ্যামেলি কার্ডের টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু।
আপনার মতামত লিখুন :