লামা রূপসী পাড়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের পথ সভা।


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮/১০/২০২২, ১২:১৪ AM / ১৭
লামা রূপসী পাড়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের পথ সভা।

মোঃমোরশেদ আলম চৌধুরী,লামা।

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার রুপসী পাড়ায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আয়োজনে এক পথ সভার আয়োজন করা হয়।
উক্ত পথ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজি মবিবুর রহমান। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা ঘোষিত দাবীসমূহ।

১. লামা উপজেলার রূপসী পাড়ার বাঁশ ব্যবসয়ী সরোয়ার আলম খুন সহ সকল হত্যার বিচার ও হত্যাকারীদের
অবিলম্বে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং উক্ত এলাকায় সেনা ক্যাম্প স্থাপনসহ লামা সদরে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে ।
২. জনস্বার্থে নাইক্ষ্যং মুখে একটি সেনাক্যাম্প স্থাপন করতে হবে।
৩.লুলাইন, পোপা এলাকায় সেনাক্যাম্প এবং চিউনি মুখে পুলিশক্যাম্প পুন:স্থাপন করতে হবে।
৪. মংপ্রু পাড়া থেকে বড় কলারঝিরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে নাইক্ষ্যংমুখ বাজার পর্যন্ত চলাচলের রাস্তাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করতে হবে।
৫.জেলা প্রশাসক ও উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক জায়গা-জমি বেচা-কেনা রেজিষ্ট্রীর ক্ষেত্রে এলআর ফান্ড এর নামে আর্থিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৬. পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের বিতর্কিত ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ধারাসমূহ বাতিল ও সংশোধন করতে হবে।
৭. বাজার ফান্ড এলাকায় ব্যাংক লোন চালু করতে হবে।
৮. পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মধ্যে সম অধিকারের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিশেষ উপহার জমি ও ঘর নির্মাণ ও বরাদ্ধ প্রদান করতে হবে।
৯.৬৪ জেলার মধ্যে ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে। পার্বত্য জেলাগুলোতে সমতলের জেলা পরিষদের ন্যায় নির্বাচন দিতে হবে এবং বাঙ্গালীদেরকেও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সুযোগ দিতে হবে।
১০. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের আওতায় জেলা ও উপজেলা মডেল মসজিদের কাজ পার্বত্য এলাকায় স্থবির হয়ে আছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।
১১.শিক্ষা, চাকুরী ও ব্যবসার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙ্গালীদের সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
১২. ১৯০০ সালের হিলট্রেক্স ম্যানুয়েল রীতি, প্রথা, পদ্ধতি বাতিল করে সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩. স্থায়ী বাসিন্দার ক্ষেত্রে রাজার পরিবর্তে জেলা প্রশাসক কর্তৃক সনদ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৪. প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা এবং পার্বত্য অঞ্চল থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা ও সন্ত্রাসীদের
গ্রেপ্তার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৫. পুলিশের জরাজীর্ণ ক্যাম্পগুলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও পানি-বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা সহ পুলিশের অস্ত্রের
আধুনিকায়ন ও ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে।
১৬. সিএইচটি কমিশনের পক্ষপাতমূলক নীতি বন্ধ এবং নিষিদ্ধ করতে হবে।
১৭. অবিলম্বে ভূমি বন্দোবস্তী ও ভূমি জরিপ চালু করতে হবে।
১৮. পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সকল নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
১৯. পার্বত্য এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীয় ছাত্র-ছাত্রীদের ছাত্রাবাস ছাত্রীনিবাসের ন্যায় বাঙ্গালীদেরও ছাত্রাবাস ছাত্রীনিবাসের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রচারে: পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, বান্দরবান জেলা শাখা।

 

কাপ্তাইয়ে খামার হতে ৭টি কালিম পাখি উদ্ধার করল বন বিভাগ।