৩৮ বছরেও হয়নি ময়লা আর্বজনা ফেলার স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন।


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩/১০/২০২২, ৯:২৩ AM / ১৫
৩৮ বছরেও হয়নি ময়লা আর্বজনা ফেলার স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন।

বিশেষ প্রতিবেদন।

 

২০২২ সালের জনশুমারী অনুযায়ী বর্তমান বান্দরবান পৌরসভায় ৭০হাজার মানুষের বসবাসের শহরকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৪ সালে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বান্দরবান সদর উপজেলার, বান্দরবান সদর ইউনিয়নের আংশিক নিয়ে বান্দরবান পৌরসভা গঠন করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে এই পৌরসভাকে “গ ” শ্রেনী থেকে সরাসরি “ক” শ্রেনীতে উন্নীত করা হয়। ৩২.৫৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনে সাঙ্গু নদীর তীরে অবস্থিত বান্দরবান পৌরসভা জাতীয় সংসদের ৩০০ নম্বর নির্বাচনী এলাকা পার্বত্য বান্দরবান আসনের অংশ।

বান্দরবান পৌরসভা বিগত ৩৮বছরেও পৌরএলাকার বর্জ্যব্যবস্থাপনার জন্য স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করতে পারেনি। খোলা জায়গায় বর্জ্যফেলার কারনে জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বান্দরবান টু রোয়াংছড়ি উপজেলা সড়কের দুইধারে সরিয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আর্বজনার স্তুপ,এই সড়ক দিয়ে বান্দরবান থেকে রোয়াংছড়ি উপজেলায় যাওয়া হয়,সড়কটি একটু নির্জন, প্রতিদিন শত শত মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করেন। পৌরসভা প্রতিদিন তিনটি ট্রাক দিয়ে দৈনিক ১২ ট্রাকের অধিক ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়,দুর্গন্ধে এলাকা জনসাধারণের চলাচলের চরম অসুবিধা হওয়ার পাশাপাশি সব আর্বজনা সাঙ্গু নদীতে এসে মিশে গিয়ে পরিবেশ ও নদীর পানি দুষিত হচ্ছে।

স্বপন বড়ুয়া( ৬২) জানান প্রতিদিন কালাঘাটা থেকে এই রাস্তা দিয়ে প্রায় সময় হেটে আসতে হয়,রাস্তার দুইধারে ময়লা আর্বজনার দুর্গন্ধে নাক বন্ধ করে আসেন বলে জানান। তিনি পৌরসভার স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করার জন্য জোরদাবী জানান।

বান্দরবান পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক ক্যসা মং মারমা বলেন প্রতিদিন বিকালে একটু শরীর চর্চা ও নির্মল,নিরিবিলি বাতাস গ্রহণ করার জন্য বান্দরবান টু রোয়াংছড়ি সড়কে গেলে দুর্গন্ধে চলা যায় না নাক মূখ বন্ধ করে চলাচল করতে হয় তাছাড়া পৌরসভার ময়লা-আর্বজনা সাঙ্গু নদীতে পড়ে নদীর পানি ও বাতাস দুষিত হচ্ছে দুর্গন্ধে বিকালে হাঁটাহাঁটি করাও কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। পৌরকর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত বর্জ্য রিসাইক্লিং করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বান্দরবান পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক মোঃ মঞ্জুর আহমেদ জানান ময়লা-আর্বজনা অস্থায়ী ডাম্পিং স্টেশনে ফেলা হচ্ছে। সাঙ্গু নদী দুষিত হচ্ছে জনসাধারণ চলাচলের দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান সাময়িকভাবে ময়লা আর্বজনা রাস্তার উত্তর সাইডে ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করা হলে জনদুর্ভোগের অবসান হবে বলে জানান তিনি।

পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারী পরিচালক ফখরুউদ্দিন চৌধুরী বান্দরবান পৌরসভার ময়লা আর্বজনায় নদী ও পরিবেশ দুষিত হওয়ার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বান্দরবান পৌরসভা ও লামা পৌরসভার বর্জ্য রিসাইক্লিং প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, অনুমোদন প্রক্রিয়ার কাগজপত্র পরিবেশ অধিদপ্তরে আছে, অনুমোদন পেলেই আগামী ২০২৩সালের মধ্য বর্জ্য রিসাইক্লিং স্টেশন হলে আর্বজনার জনদুর্ভোগের সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসলাম বেবী , জানান বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপির সার্বিক পরিকল্পনা ও সহযোগীতায় রাস্তাঘাট নির্মাণ,ড্রেনেজ,বর্জ্য ,পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা ও নাগরিক সুবিধা প্রদানে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে । বান্দরবান টু রোয়াংছড়ি সড়কের দুইধারে পৌরসভার ময়লা আর্বজনা ফেলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কালাঘাটায় পাঁচ একর জায়গা ঠিক করা হয়েছে, স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের। অতিদ্রুতন এটি বাস্তবায়ন  করা হবে বলে জানান তিনি।স্থায়ী ডাম্পিং স্টেশন করা হলে জনদুর্ভোগের সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান।

পৌরসভাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আধুনিক পর্যটন শহরে পরিনত করতে পৌরবাসীর সার্বিক সহযোগীতা চেয়েছেন মেয়র মোঃ ইসলাম বেবী।

 

 

 

 

নাইক্ষ‍্যংছড়িতে পুলিশের অভিযানে বিদেশী মদসহ ১ পাচার কারী আটক।