ঘুর্নিঝড় মোখায় প্রস্তুত বান্দরবান জেলা প্রশাসন


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ১৪/০৫/২০২৩, ৬:৩৩ PM / ৯৩
ঘুর্নিঝড় মোখায় প্রস্তুত বান্দরবান জেলা প্রশাসন

জয়বাংলা নিউজ ডেস্ক।

ধেয়ে আসছে ঘুর্নিঝড় “মোখা,এরি মধ্যে অতি প্রলয়নকারী ঘুর্নিঝড় মোখা মোকাবেলায় বান্দরবান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৭ টি উপজেলায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক কর্মসূচি।

বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলায় ২০৫টি অস্থায়ী  আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানুষকে সহায়তা করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে  ৪১৬ টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের তহবিলে ৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় কে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট  সরবরাহ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি  সেনাবাহিনী,  সিভিল সার্জন কার্যালয়, বিদ্যুৎ বিভাগ , স্কাউট ও রেডক্রস সহ সকলকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ঘুর্নিঝড় পরবর্তী ত্রান সহায়তার অংশ হিসেবে  লামা উপজেলায় ৫ টন, আলীকদম উপজেলায় ৪ টন, সদর উপজেলায় ৫ টন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৫ টন, রুমা উপজেলায় ২ টন, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২ টন,থানচি উপজেলায় ২ টন চাল  বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

কন্ট্রোল রুমের মোবাইল নম্বর ০১৩০৯৭৪৪৯২৩
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার বিশ্বাস জানান ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের পক্ষ হতে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের পরবর্তী প্রস্তুতি ও করনীয় সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

ঘুর্নিঝড় প্রবণ এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণকে তাদের স্ব স্ব এলাকার আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও ঘুর্নিঝড় পরবর্তী খাদ্য ও ত্রান সামগ্রী সহায়তার অংশ হিসেবে সকল উপজেলাতে সহায্য সেল খোলা হয়েছে  বিশেষ প্রয়োজনে জরুরি নাম্বারে যোগাযোগ করে সহযোগিতা পেতে পারবেন ঘুর্নিঝড় কবলিত এলাকার জনসাধারণ।

এছাড়াও ঘুর্নিঝড় সতর্কতা মূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বান্দরবান পৌরসভা এলাকায় জনসাধারনের সচেতনতায় মাকিং করা হয়েছে।

বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক জানান আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বান্দরবানে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।ভারী বৃষ্টি পাতে পাহাড় ধস হতে পারে।

মোখার প্রভাব বান্দরবানে কম পরিলক্ষিত হবে।তবে নাইক্ষাংছড়ি দিকে প্রভাবটা পড়বে।

এদিকে লামা উপজেলায় ঘুর্নিঝড় মোখা এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ৫৩ টি বিদ্যালয় কে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রশাসনের উদ্যোগে ঘুর্নিঝড় মোখা সতর্কতায় পর্যাপ্ত শুকনো খাবার  ও চিকিৎসা সহায়তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জনসচেতনতায় জনসাধারণ কে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে মাকিং অব্যাহত আছে।

আরো পড়ুন –