জাতির পিতাই বলেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- প্রধানমন্ত্রী।


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪/১২/২০২২, ২:১১ PM /
জাতির পিতাই বলেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- প্রধানমন্ত্রী।

জয়বাংলা নিউজ অনলাইন ডেস্ক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ নয়। জাতির পিতাই বলেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, আমরা তা মেনে চলছি। সেভাবে আমরা আমাদের দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি প্যারেড অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বর্তমান সরকার। ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে।

দুর্যোগ-দুর্বিপাক সবক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নবীন ক্যাডেটদের দেশসেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা এ দেশের সন্তান; জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তোমাদের সবাইকে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে। সুযোগ্য নেতৃত্ব, সার্বিক দিক-নির্দেশনা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে তোমাদের দেশের সেবা করে যেতে হবে। দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই তোমাদের পেশাগত জীবনের প্রধান ব্রত।”

তিনি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা যেহেতু ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আজকের নবীন অফিসাররাই হবে ২০৪১ এর সৈনিক। যারা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেদিয়ে বিজয় অর্জন করে স্বাধীন হয় দেশ। আর এই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এ সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা স্বাধীনতার পর দেশ গঠনের দায়িত্ব নেন, ওই সময় তার একটাই লক্ষ্য ছিল আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদার ও শক্তিশালী বাহিনীতে গড়ে তোলা।

ভাষণের শুরুতে তিনি ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে ঘাতকদের হাতে তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন।

এর আগে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২২ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টার দিকে সেখানে পৌঁছে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন তিনি।

মিলিটারি একাডেমি থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে আসবেন শেখ হাসিনা। স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় যোগ দেবেন।

চট্টগ্রাম নগর, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি ১৬০ ফুট লম্বা নৌকার আদলে তৈরি সভা মঞ্চে ভাষণ দেবেন তিনি।

এরই মধ্যে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

বান্দরবান রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ক্যাশৈহ্লা সেক্রেটারী অমল কান্তি দাশ।