নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন লেকে সংযোজন ৩টি কায়াকিং বোট।


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ১৯/০৪/২০২৩, ৪:১৬ PM / ১২৭
নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন লেকে সংযোজন ৩টি কায়াকিং বোট।

বিশেষ প্রতিবেদন,আবদুর রশিদ,নাইক্ষ্যংছড়ি।

ঈদ ও সাংগ্রাইং উপলক্ষ্যে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র উপবন পর্যটন লেকের গায়ে কায়াকিং মেকাপের প্রলেপ আকঁছেন উপজেলা প্রশাসন ।

লেকটি সাজাঁনো হচ্ছে অপরূপ সাজে। লেকের প্রধান আকর্ষণ ঝুলন্ত ব্রীজটিতে আনা হচ্ছে আরো নতুনত্ব। আম-বাগান ও সেগুন বাগান দুটির ফঁকফঁকা ভাব ধারণ করছে। এখন শোভা পাচ্ছে সব। বলতে গেলে এ ঈদ-পরবে অপরূপ সাজে সাজানো হচ্ছে দেশের দক্ষিন-পূর্ব সীমান্তের একমাত্র ঝুলন্তব্রীজের দেশ নাইক্ষ্যংছড়ির উপবন পর্যটন স্পট।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র আরো জানান,
পর্যটন লেকে এবারে সংযোজন হয়েছে
৩ টি কায়াকিং বোট। যে গুলো চট্টগ্রাম থেকে কেনা হয়েছে। অনিন্দ্য সুন্দর এ বোট। এর আগে আরো ৫ টি বোট ছিলো। এখন মোট-৮টি বোট। অনেক দূরের প্রকৃতিকে দেখতে করা ওয়াচ টাওয়ার টির পরিবেশকে আরো সুগম করা হয়েছে।

সূত্র আরো জানান,ঝুলন্ত বীজের পাটতন গুলোতে সংস্কার আনা হচ্ছে। ডজনাধিক নিরাপত্তা প্রহরীকে আইডেন্ডিফাই জ্যাকেট,সিগনেল কাঠি ও মাইক্রোফোনে সংযোজিত করা হয়েছে । দোলনা,শিশু পার্ক,ডজনাধিক দ্বিতল/একতল রেস্ট প্লিস,কনফারেন্স প্লেসে রঙ্গিন আভায় রূপ দেয়া হয়েছে। বলতে গেলে এবারের ঈদে যৌবনে পা রেখেছে সাগর কন্যার পূর্বদেশের পার্বত্যঞ্চলের নাইক্ষ্যংছড়িস্থ পর্যটন উপবন লেক টি। যা এবারের ঈদুল ফিতরের আগে পরে পর্যটকরা উপভোগ করতে পারবেন।

স্থানীয় সূত্র গুলো জানান, এ লেকে আসতে হয় ককসবাজার শহরতলী বা রামু উপজেলা সদরের রাবার বাগানের বুক চিরে। আঁকা-বাঁকা পথ বেয়ে সেখানে যেতে হয়। ককসবাজার সী বীচ থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার আর ককসবাজার- চট্টগ্রাম সড়কের রামু রাবার বাগান স্টেশন থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার সোজাঁ পূর্বদিকের এ সড়ক দিয়ে আসতে যে কোন গাড়িতে যাতায়াত করা যায় । যে সড়ক টি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলকায় যাওয়ার অত্যন্ত নিরপদ ও কাছের সড়ক।

সূত্র মতে সড়কের ৭ কিলোমিটাের মাথায় রয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা, ১১ বিজিবি’র ব্যাটালিয়ন সদর,নাইক্ষ্যংছড়ি থানা,নাইক্ষ্যংছড়ি সরকারী ডিগ্রি কলেজ
নাইক্ষ্যংছড়ি টেকনিক্যাল সরকারী স্কুল ও কলেজ ও দেশের বৃহৎ গয়াল খামার।এছাড়া আরো কত কী!

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন,তিনি নবাগত। তবু শুরুতে ৩ টি কায়াকিং বোট ও অন্যান্য পণ্যসামগ্রী সংযোজন করছেন।আরো বৈচিত্রতা আনতে তিনি বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাহাড়ের সম্পদকে কাজে লাগানোর ও পর্যটন শিল্পের প্রসারের বৃহৎ লক্ষ্যকে বাস্তবে রূপ দিতে তিনি এখানে অগ্রাধিকার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।

 

 

আরো পড়ুন –

 

মারমা সম্প্রদায়ের শত শত বছরের পুরানো গীতিনাট্য