পাহাড়ের কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়।


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮/০২/২০২৩, ৪:৪৬ PM / ৪০
পাহাড়ের কৃষি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়।

জয়বাংলা ডট নিউজ ডেস্ক।

আবাদযোগ্য পাহাড়ি কৃষি  জমির মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে ৭-৮ টি ট্রাক। ভারি স্কেবেটর দিয়ে কাটা হচ্ছে পাহাড়ের মাটি ও জমির মাটি।মাটি পরিবহনের জন্যেও জমির মাঝখানে কাটা হয়েছে বিসাল রাস্তা এ যেনো রীতিমত জোর যার মুল্লুক তার।

বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের সুয়ালক আমতলী তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ার ভিতরে বিশাল এলাকা জুড়ে পাহাড়ের ও চাষযোগ্য জমির মাটি ভারি স্কেবেটরের মাধ্যমে কেটে ৭ – ৮ টি ট্রাক যোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে  ইটভাটায়। তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ার এই সড়কটি দিয়ে ট্রাকে করে দৈনিক  ১০০-২০০ ট্রিপ মাটি  পরিবহণ করে নিয়ে যাওয়া হয় ইটভাটায় ।স্থানীয়দের শত অভিযোগ থাকা সর্তেও এই অভিযোগ গুলো শোনার কেউ নেই,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন ট্রাকে করে মাটি পরিবহণে তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ার এই সড়কটির ব্যাবহার বেশি হওয়ার কারনে ব্রিক সলিং এই রাস্তাটি এখন ব্যাবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে।রাস্তায় রাস্তায় খানাখন্দে পরিনত হওয়ার কারনে সামনের বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য একমাত্র এই রাস্তার এই পরিস্থিতির জন্য পড়তে হবে চরম ভোগান্তিতে।

সরজমিনে জানাযায় সুয়ালক আমতলী পাড়ায় এবিএন নামক একটি ইটভাটায় ইট তৈরীর কাঁচামালের যোগান দিতেই মুলত নিয়ে যাওয়া  হচ্ছে এই মাটি।
খোজ নিয়ে জানাযায় স্থানীয় বাসিন্দা আমহুই ম্রো তার ব্যাক্তিগত প্রয়োজনেই তার পাহাড়ি জমির মাটি বিক্রি করেছেন ব্রিকফিল্ডের মালিক মোঃ করিম কে।মাটি কেটে জমির রূপ পরিবর্তন করে মাছের প্রজেক্ট বানানোর ক্ষেত্র জেলা প্রশাসন কিংবা উপজেলা প্রশাসনের লিখিত কোন অনুমতিপত্র না নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন এ বিষয়ে তিনি জানেন না,তিনি বলেন মাটি নিয়ে যাওয়ার পর এখানে মাছ চাষ করা ছাড়া আর কিছুই করা যাবে না।

মাটি কাটার সম্পুর্ন কাজকর্ম তদারকি করছেন  শহিদ নামে এক ব্যাক্তি।মাটি কাটার বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান চার পাঁচদিন ধরে এই মাটি কাটার কাজ চলছে। তিনি পাহাড় কাটছেন না,সবাইকে ম্যানেজ করে পাহাড়ি জমির মাটি ব্রিকফিল্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রয়োজনে মালিকের সাথে কথা বলে চা পানির ব্যাবস্থাও করে দিতে পারেন তিনি।

পাহাড়ের চাষযোগ্য জমি কাটার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমতিপত্র নেয়ারো প্রয়োজন নেই বলে বলেন তিনি।এ বিষয়ে মোঃ করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা পাঁহাড়ের জমির মাটি না কাটলে ব্রিকফিল্ড কিভাবে চালাবো!প্রশাসনের কোন অনুমতি পত্র আছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।

৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের আমতলী পাড়া  ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য শৈক্যহ্লা মার্মা বলেন মাটি কাটার বিষয়ে আমি শুনেছি,তবে তিনিও প্রত্যক্ষভাবে মাটি কাটার বিষয়টি নিয়ে কোন অভিযোগ দিতে চান নি।চলাচলের রাস্তা নষ্ট হওয়ার বিষয়টি ভারি বস্তু পরিবহনের কারনে হয়েছে বলে জানান।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফকর উদ্দিন চৌধুরী বলেন পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড় ও পাহাড়ি জমি কাটার বিষয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা  বাধ্যবাধকতা আছে।তিনি বলেন বেশিরভাগ ইটভাটা পাহাড়ের মাটি ও বনের কাট ব্যাবহার করে ইটভাটার কাঁচামাল হিসেব।শীগ্রই এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িতদের বিষয়ে আইনগতভাবে পদক্ষেপ গ্রহনের কথা যানান এই কর্মকর্তা।

১৭জঙ্গি, ৩ কেএনএফ সদস্য আটক, র‍্যাবের প্রেস ব্রিফিং।