বান্দরবানে কেএনএফ`র অপ তৎপরতার প্রতিবাদে ১১টি জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ২০/০৪/২০২৪, ৮:৩৯ PM / ১৩
বান্দরবানে কেএনএফ`র অপ তৎপরতার প্রতিবাদে  ১১টি জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ

জয়বাংলা নিউজ ডেস্ক।

 

বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতিকালে লুট করে নিয়ে যাওয়া ১৪ টি সরকারি অস্ত্র ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে সব আলোচনা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন শান্তি কমিটির সদস্যরা।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সামাজিক নেতাদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভায় পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি লালজার লম বম, ম্রো সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রাংলাই ম্রো, মারমা এসোসিয়েশনের সভাপতি মংসিনু মারমা, ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট খুশী রায় ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার বান্দরবান অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক বির লাল তঞ্চঙ্গ্যা, চাক সমাজ কমিটির সহসভাপতি উচাই হ্লা চাক, খেয়াং সম্প্রদায়ের ম্রাসা খেয়াং। চাকমা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুটপাটের ঘটনাকে নিন্দনীয় কাজ উল্লেখ করে এসকল সরকারি অস্ত্র অবিলম্বে ফেরত দিয়ে সকল বিপথগামী কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহব্বান জানান।
লুট হওয়া অস্ত্র ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত শান্তি আলোচনা বন্ধ
তারা আরও জানান, অপহরণের শিকার ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে গত ৪ এপ্রিল উদ্ধার করা গেলেও পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর লুট হওয়া মোট ১৪ টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন ।
    কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান
শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটিসহ আপামর জনগণ এ উদ্ভূত পরিস্থিতি কামনা করছে না। এমন অশান্ত পরিস্থিতি পরিহার এবং সম্পাদিত সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী কেএনএফের সকল সদস্য শান্তি বজায় রাখতে অস্ত্র সমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।

অনুষ্ঠানে লালজার লম বম বলেন, সভায় কোন পাড়ার বম সম্প্রদায়ের কার্বারী, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপস্থিত নেই। তাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও নিরাপদ বোধ না করার কারণে এ ১২ জাতির মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। শান্তি প্রতিষ্টা কমিটি গঠনের পর থেকে বম সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত ৯৬৮ পরিবারকে পুনর্বাসন ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে গ্রহণযোগ্য সকল দাবি মেনে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। এখন নাথান আমাদের সম্প্রদায়ের হওয়ায় সকল বম লোকজনকে বিপদগ্রস্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৯ মে অরুণ সার্কি টাউন হলে প্রথম জেলার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মতবিনিময় সভা করার পর কয়েক দফায় কেএনএফের সঙ্গে ভার্চুয়ালি ও স্বশরীরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।