লামায় পানির উৎস সনাক্ত ও পুনরুজ্জীবিতকরণে ভেলিডেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬/০৬/২০২৩, ৭:২৩ PM / ২৯
লামায় পানির উৎস সনাক্ত ও পুনরুজ্জীবিতকরণে ভেলিডেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মোঃ মোরশেদ আলম চৌধুরী, লামা।

পার্বত্য চট্টগ্রামের (CHT) টেকসই পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য ‘পানির উৎস সনাক্তকরণ ও পুনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্পের’ অধীনে লামা উপজেলায় ভেলিডেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ হলরুমে মঙ্গলবার (০৬ জুন) বেলা ১১টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধিনস্ত ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস (সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পে সার্বিক সহযোগিতা করছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক, সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক, মাঠ সংগঠক ও পাড়াকর্মীরা।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল। সভাপতিত্ব করেন, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) এস এম রাহাতুল ইসলাম।

এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদ উদ্দিন, মিলকী রাণী দাশ, লামা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুল ইসলাম, লামা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সোলেমান আহাম্মদ, ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা, উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক একেএম রেজাউল ইসলাম সহ প্রমূখ। এছাড়া সিইজিআইএস এর গবেষনা সহযোগী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, এবিএম মোস্তাইন বিল্লাহ, মোহাম্মদ শহীদুল রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের উপজেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক একেএম রেজাউল ইসলাম ও গবেষণা ফলাফলের উপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিইজিআইএস এর গবেষনা সহযোগী মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।

মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, আমাদের গবেষনা ও জরিপে লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে পানির উৎস হিসাবে ৪০৩টি ঝিরি, ১৬৫টি ছড়া ও ৩৮টি ঝর্ণা সহ মোট ৬০৩টি পানির উৎসের তথ্য পাওয়া যায়। ৩৮টি ঝর্ণার মধ্যে ৩০টি বহুবর্ষজীবি ও ৮টি মৌসুমী, ১৬৫টি ছড়ার মধ্যে ১৩৮টি বহুবর্ষজীবি ও ২৭টি মৌসুমী এবং ৪০৩টি ঝিরি মধ্যে ৩০৮টি বহুবর্ষজীবি ও ৯০টি মৌসুমী। এইসব পানির উৎস সমূহগুলোর মধ্যে মৌসুমী পানির উৎস গুলোকে কিছু পদক্ষেপ নিলে বহুবর্ষজীবি পানি উৎসতে রূপান্তরিত করা যাবে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভৌগলিকভাবে পাহাড়ি এলাকা এবং বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান নিয়ে গঠিত। পানির উৎস হিসেবে বিদ্যমান ঝর্ণা, ছড়া বা ঝিরিগুলির সংখ্যাগত কোন তথ্য বর্তমানে পাওয়া যায় না। তথ্যানুসারে, ধারণা করা হয় যে প্রায় শত বৎসর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অসংখ্য ঝর্ণা ছিল।

সাম্প্রতিক পানিবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে অনেক ঝর্ণা শুকিয়ে যাচ্ছে ফলে পানির ঘাটতি ও ঘাটতিজনিত সমস্যায় মানুষ ভুগছে এবং দিন দিন তা বেড়েই চলছে। তাই কতিপয় পানির উৎসকে পুনরুজ্জীবিত করে (যদি সম্ভব হয়) অথবা বিকল্প উৎসের উদ্ভাবন করে বা উন্নয়ন সাধন করে মানুষের দুর্ভোগ হ্রাসের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

সাধারণ মানুষের কাছে সহজবোধ্য করা এবং পানিসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে লামা উপজেলায় বিদ্যমান সকল পানি সম্পদের মূল্যায়নপূর্বক বর্তমান চিত্র তুলে ধরে উপজেলাভিত্তিক তালিকা প্রতিবেদন তৈরী করা হয়। এতে করে পানির উৎসের অবস্থান সমূহ চিহ্নিত করার মাধ্যমে উৎসগুলির উন্নয়নে সহায়ক হবে।

 

 

 

 

আলীকদমে সেচ্ছাসেবক লীগ এর কার্যকরী কমিটির সভা