সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ২৭/০৪/২০২৪, ৬:১০ PM / ২০
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস

জয়বাংলা নিউজ ডেস্ক।

 

 

শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন, সন্ত্রাস, ঘুষ, দুর্নীতি প্রতিরোধ, মাদক নির্মূলে ক্রীড়ামূখী এবং জবাবদিহিতামূলক একটি কার্যকরী স্থানীয়
সরকার ব্যবস্থা নিশ্চিতে ৭ টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গিকার দিয়ে এবারে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ এ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুছ নিজের অবস্থান তুলে ধরে বান্দরবান জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার হিলভিউ কনভেনশন সেন্টারে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বিগত সময়েও তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে জনগনকে দেয়া সকল প্রতিশ্রুতি রাখতে পেরেছেন এছাড়া এবারো জনগনের জন্যেই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।এসময় তিনি নির্বাচিত হলে জনগনের জন্য কৃষি, শিক্ষা,ক্রীড়া,স্বাস্থ্য,নাগরিক সুবিধা,তথ্য প্রযুক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা এসকল মৌলিক বিষয়গুলোকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।

এছাড়াও সদর উপজেলার সকল ক্লাব গুলোকে বাৎসরিক ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান সহ অনুদানে সহায়তা কার্যক্রম এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করবেন।এছাড়াও উপজেলা পরিষদের সীমাবদ্ধতার বাইরে ব্যক্তি উদ্যোগে সামজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত ফান্ড হতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

এসময় নির্বাচনে প্রশাসনের কার্যক্রমে তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে জানান জনগনের প্রতি তার অগাদ বিশ্বাস আছে,সকল শক্তির উৎস সাধারণ জনগন তাই আগামী ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের নাগরিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্য প্রার্থীকেই আগামীতে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের দায়িত্ব দিবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক, সাবেক সভাপতি, মনিরুল ইসলাম,জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, এমএ হাকিম চৌধুরী সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।

 

৭ টি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে উল্লেখিত বিষয় সমূহ –

কৃষিঃ আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এদেশের গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষ সর্বোপরি কৃষি ও কৃষক ভাই-বোনেরা। কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে
সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির কৃষি সরঞ্জাম বিতরন করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম কে এগিয়ে নিতে উপজেলা
পরিষদের একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। বর্তমানে কৃষকদের জন্য যে সরকারি সুযোগ সুবিধা গুলো রয়েছে তা আরও বৃহৎ পরিসরে বিস্তৃত আকারে বাড়ানোর জন্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে বিশেষ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহন করা হবে। নিয়ম মেনে কৃষককে ভোগান্তিহীন সেচ লাইসেন্স পেতে সহায়তা
করা হবে। কৃষকদের জন্য একটি হটলাইন নাম্বার চালু করা হবে যাতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে একজন কৃষক দ্রুত সময়ে নিজের সমস্যা
নিয়ে সরাসরি উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে অবহিত করতে পারে। পরবর্তীতে উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয় ওই কৃষকের সমস্যা দুরীকরনে তাৎক্ষণিক
পদক্ষেপ গ্রহন করবে । এছাড়াও জেলা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন এনজিও সংস্থার সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ কে
কৃষি ও কৃষকবান্ধব উপজেলা পরিষদ পরিনত করা হবে।

শিক্ষাঃ দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান মেধাবৃত্তি চালু করা। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার
শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তি প্রদান করবে পরিষদ (প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা থেকে নুন্যতম দুই জন করে এবং তা নির্বাচিত হবার
একশো দিনের মধ্যেই দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করা হবে)। স্মার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-স্মার্ট শিক্ষার্থী এই স্লোগান কে সামনে রেখে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন
করা হবে। উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহায়তায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

তথ্য প্রযুক্তিঃ জেলা এবং উপজেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহায়তায় প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

সামাজিক নিরাপত্তাঃ মাদক, কিশোর গ্যাং এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ। বাল্যবিবাহ নির্মূলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা হবে। নারীর
আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কারিগরি প্রশিক্ষণের সেলাইসহ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। সরকার ঘোষিত গ্রাম হবে শহর কার্যক্রমকে প্রশাসনের সমন্বয়ে এগিয়ে নেয়া।
এছাড়াও লিগ্যাল এইড অফিসের সহায়তায় বিনামূল্যে আইনি সেবা কার্যক্রমের বিষয়টি জোরালোভাবে প্রচার হবে। যাতে সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে আইনিসেবা
গ্রহণে লিগ্যাল এইড অফিস মুখি হয়।

ক্রীড়াঃ ছেলে-মেয়েদের ক্রীড়ামুখী রাখতে মাঠ গুলো কে সংস্কার ও খেলা উপযোগী করা। উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বার্ষিক ক্রীড়া
কর্মসূচি প্রনয়ন করা হবে। উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাকে গতিশীল করার মাধ্যমে বয়স ভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া হবে ।
প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ ও দক্ষ ক্রীড়া সংগঠকদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে পরিষদ । ক্রীড়া কে এগিয়ে নিতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের
উদ্যোগে গঠিত ক্লাবগুলোকে সচল করে ক্রীড়া সামগ্রীসহ বার্ষিক প্রনোদনার আওতায় আনা। এছাড়াও ফেডারেশন গুলোর সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন পূর্বক
খেলোয়াড়দের জন্য প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা হবে।

স্বাস্থ্যঃ গ্রামীন জনপদে সাধারন জনগনের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা অনেকটাই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর উপর নির্ভর করে। এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে ডাক্তারের
উপস্থিতি নিশ্চিত ও স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম কে গতিশীল করতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের সমন্বয়ে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহন করা
হবে। এছাড়াও বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা সংস্থাগুলো উপজেলা পরিষদের নিজস্ব উদ্যোগে ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনায় উৎসাহিত করা হবে।

নাগরিক সুবিধাঃ প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা। এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে রাষ্ট্র । বান্দরবান
সদর উপজেলাস্থ সর্বসাধারনের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, গ্রামীন জনপদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলবদ্ধতা নিরসন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর
মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান নিশ্চিত করা হবে। পর্যটনকে এগিয়ে নিতে পর্যটনবান্ধব দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে বান্দরবান উপজেলা পরিষদ। অত্র
এলাকার সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও যথাযথ ভূমিকা পালন করা হবে।