অপ্রচলিত ফসিল চাষে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পালটে যাবে – কৃষিমন্ত্রী ড. মােঃ আব্দুর রাজ্জাক


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ১৯/০৬/২০২১, ৫:১৬ PM / ১৬
অপ্রচলিত ফসিল চাষে পাহাড়ের অর্থনৈতিক চেহারা পালটে যাবে – কৃষিমন্ত্রী ড. মােঃ আব্দুর রাজ্জাক

মোঃ শফিকুর রহমান (বান্দরবান প্রতিনিধি):
দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এখন কৃষিকে বাণিজ্যিককরণ ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করহে বলে জানিয়েহেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মােঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। কৃষিকে লাভজনক করতে হলে কাজুবাদাম, কফি, গােলমরিচসহ অপ্রচলিত অর্থকরী ফসল চাষ করতে হবে । শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও এসবের বিশাল চাহিদা রয়েছে তারই সাথে দামও বেড়েছে । সেজন্য এসব যন্সলের চাষাবাদ ও প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে হবে । পাহাড়ের এই বৃহৎ অঞ্চল জুড়ে এসব ফসল চাষের সম্ভাবনা অনেক ।

এইভা আনারস, আমি, ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষের সম্ভাবনাও প্রচুর । আমরা কাজুবাদাম ও কফির উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপক ভাবে হড়িয়ে দিতে কাজ করছি। এটি করতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মানের দর্শনীয় উন্নয়ন হবে। একইসাথে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।

শনিবার (১৯ জুন ) সকালে বান্দরবান রুমা উপজেলায় কাজুবাদাম বাগান , কফি বাগান ও আমসহ অন্যান্য ফলবাগান পরিদর্শনের শেষে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে অল্প পরিসরে কাজুবাদাম এবং কফি উৎপাদন হচ্ছে । শুধু পাহাড়ি অঞ্চলে নয়, সারাদেশে যে সব অঞ্চলে কাজুবাদাম এবং কফির চাষাবাদের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে চাষাবাদ হচ্ছে না পর্যায়ক্রমে এমন এলাকাও কাজুবাদাম ও কফি চাষের আওতায় আনা হবে। সে লক্ষ্যে সম্প্রতি কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ শীর্ষক ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।

তিনি আরাে বলেন, এ ফসলের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষক ও উদ্যোক্তাদের আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা প্রদান করহি। দেশে যাতে কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে সে জন্য কঁচা কাজুবাদাম আমদানির উপর শুল্কহার প্রায় ৯০ % থেকে নামিয়ে মাত্র ৫ % নিয়ে আসা হয়েছে।

পরিদর্শনকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মােঃ মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ওশাহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মােঃ আসাদুল্লাহ, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এমপি বীর বাহাদুর উশৈসিং, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড.শেখ মাে: বখতিয়ার, বান্দরবানে জেলা প্রশাসক ইয়াহমিন পারভীন তিবরীজি, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানে উপপরিচালক একেএম নাজমুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

পরে বিভিন্ন ফসলের বাগান দেখার লক্ষ্যে বিকালে কৃষিমন্ত্রী বান্দরবান থানচি উপজেলায় রওনা দেন।