সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী’র জিরো টলারেন্সের নীতিতে আমরা কাজ করছি – আইজিপি


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪/০৪/২০২৪, ১:০৯ AM / ৪৩
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী’র জিরো টলারেন্সের নীতিতে আমরা কাজ করছি – আইজিপি

জয়বাংলা নিউজ ডেস্ক।

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় হামলা,ডাকাতি,পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট,ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় আজ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ সময় তিনি ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারী ও স্থানীয় জনসাধারণের সাথে ঐ দিনের ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে আলোচনা করেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন বান্দরবানে এসেছি, কাল রাতে জঘন্য যে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে কী হয়েছে তা জানার জন্য এসেছি। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি, আমাদের লোকজনের উপর আক্রমণ হয়েছে, মসজিদে তারা আক্রমণ করেছে, আনসার ক্যাম্পে তারা আক্রমণ করেছে, পরবর্তীতে অস্ত্র নিয়ে গেছে।
আনসার, পুলিশের অস্ত্র নিয়েছে এবং সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে নিয়ে গেছে। আমরা দেখছি, অস্ত্রগুলো কোথায় আছে খুঁজে দেখব। এবং এর সঙ্গে যারা জড়িত এদের বিরুদ্ধে যথাযথ কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে আইজিপি’র রুমা পরিদর্শন কালে দপুরের দিকে থানচি উপজেলার কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় একদল পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী ।
এসময় ব্যাংকের কর্মকর্তা,কর্মচারীদের জিম্মি করে সেনালী ব্যাংক হতে ১৫ লাখ এবং কৃষি ব্যাংক থেকে ২ লাখ পয়তাল্লিশ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মামুন।
এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন আমরা একটু আগেই বিষয়টি শুনেছি। আমরা সতর্ক ছিলাম বলেই তারা এসে পালিয়ে গেছে। আমরা এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি।
প্রতিটি ঘটনার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে পুলিশ-প্রধান বলেন,যারা দৃষ্কৃতকারী তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, পুলিশের সক্ষমতা একটি চলমান প্রক্রিয়া। একটা সময় তথাকথিত সোর্স নির্ভর তদন্ত হত। এখন আর আমরা সোর্স নির্ভর তদন্ত করি না। কারণ আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন একসময় এদেশে জঙ্গিবাদের হোলি খেলা চলেছে। সন্ত্রাসীদের দাপট ছিল। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সাধারণ মানুষ, একজন স্কুল শিক্ষক সেখানে বাসবাস করতে পারতেন না। তাদেরকে চাঁদা দিতে হয়েছে। এখন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চালু হয়েছে।
তিনি বলেন সারাদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্সের যে নীতি, সেই নীতির আলোকে আমরা কাজ করছি।
প্রসঙ্গত রুমার ঘটনায় ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ,পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন , বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মেহেদী হাসান,বিজিবি,র‍্যাব সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত পাহাড়ে কেএনএফ এর অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১৮ই জুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গঠিত হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ই নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের অনুষ্ঠিত হয় এবং চলতি বছরের ৫ই মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে সমঝোতা বৈঠকে বসে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট(কেএনএফ) এর উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।