জয়বাংলা নিউজ ডেস্ক-
বান্দরবানে সদর উপজেলার ১নং রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্যঅংপ্রু মারমা পরিবেশের অনুমতি বা কোন ছাড়পত্র ছাড়াই প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়দের অভিযোগ প্রায় কয়েকদিন ধরে স্কেভেটর (ভারিযন্ত্র) দিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে তা অন্যত্র বিক্রি করছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবান ১নং রাজবিলা ইউয়নের কেংড়াছড়ি রাবারবাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলমান নির্মাণধীন ভবনের পাশে উচু পাহাড়ের টিলাটি স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটার কাজ চলছে এবং ২ টি ট্রাক দিয়ে সেই মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নির্মাণাধীন ব্রিজে ভরাটের জন্য এমনটাই জানান ইউপি চেয়ারম্যান।
ব্রিজের ভরাটের নামে অবৈধভাবে পাহাড়টির অনেক অংশ কেটে সমান ভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। মাটিগুলি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ফলে, বৃষ্টির দিনে সেই মাটি রাস্তায় পড়ে কাদামাটি জমে জনসাধারণের যাতায়াত ব্যাহত হচ্ছে, এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান ক্যঅংপ্রু মারমা পরপর দুইবার ইউপি চেয়ারমান হাওয়ার সুবাদে ক্ষমতার জোড়ে বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান থাকায়, অবৈধ পন্থায় পরিবেশ ধ্বংস যজ্ঞ কাজে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে।
তারা বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে পাহাড়ের সেই মাটি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন এই জনপ্রতিনিধি। এর আগে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে ঐ এলাকায় খাল থেকে বালু উত্তোলন কাজেও লিপ্ত ছিলেন। সেই বালি অবৈধভাবে তোলার অপরাধে পরিবেশে মামলার দায়ে গুণতেই হয়েছে জরিমানা। এলাকা জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না।
পাহাড় কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ক্যঅংপ্রু মারমা বিষয়টি স্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, পাহাড়টি আমি কেটেছি। মাটিগুলি পাশে ব্রিজে কাজে ভরাট করা হচ্ছে।পাহাড় কাটা জন্য পরিবেশে অনুমতি নিয়েছেন কি-না প্রশ্ন করা হলে প্রতিবেদককে বলেন, বান্দরবান আসলে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেন।পরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় কাটা বিষয়ে সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা আছে,পাহাড় কাটার সাথে যে বা যারা জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ ভারসাম্য নষ্ট করে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা প্রসঙ্গে বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজিয়া আফরোজ বলেন ১নং রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যানের মাটি কাটার বিষয়ে আমরা অবগত নই তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বান্দরবানে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব।পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে মন্ত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :