দশ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি আলীকদম পানি শোধনাগার প্রকল্প


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭/০৫/২০২১, ৬:৩৮ PM / ১৩
দশ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি আলীকদম পানি শোধনাগার প্রকল্প

প্রশান্ত দে (আলীকদম, বান্দরবান):

প্রায় দশবছর আগে পুরো উপজেলা সদরজুড়ে যখন বিশুদ্ধ খাবার পানির হাহাকার রব উঠেছিল তখন অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘আলীকদম উপজেলা সদরে পানি শোধনাগার প্রকল্প’টির কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১১ সালের ১১ জনু এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তৎকালিন চেয়ারম্যান বর্তমান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। অর্থ সংকটের অজুহাতে কাজটি শুরু ছয়মাসের মাথায় থেমে যায়। প্রায় ১০ বছর হতে চললেও আর এ প্রকল্পের কাজ নতুন করে শুরু হয়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ প্রকল্পটি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ কাজ বাস্তবায়নের কথা ছিল। কাজ শুরুর পর অর্থসংকট দেখিয়ে ঠিকাদার প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও অতি জনগুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে তারা এগিয়ে আসেনি।

সরেজমিন দেখা গেছে, বিগত প্রায় তিনমাস ধরে আলীকদম উপজেলা সদর ও আশেপাশে পাহাড়ি এলাকায় সাধারণ জনগণ চরমভাবে খাবার পানির সংকটে পড়েছেন। ২৪ এপ্রিল যুগান্তরে ‘আলীকদম বিশুদ্ধ খাবার পানি তীব্র সংকট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকশের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলীকদম জোন থেকে প্রতিনিয়ত ভূক্তভোগী জনসাধারণের মাঝে খাবার পানি বিতরণ করে যাচ্ছে। তবে সংকট নিরসনে জনস্বাস্থ্য বিভাগ কিংবা উপজেলা প্রশাসন ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকায়। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবছর জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন থেকে রিংওয়েল স্থাপনে যৎসামান্য প্রকল্প নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা যখন বৃষ্টি শুরু হয়। যাতে করে বর্ষায় ৩০/৪০ ফুট গর্ত করলেই পানি পাওয়া যায়।

প্রতি বছর গ্রীষ্ম মৌসুমে আলীকম উপজেলার সদরসহ আশপাশের বাসিন্দারা তীব্র পানি সংকটে পড়েন। সংকট নিরসনে পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজ শুরু করলেও আর আলোর মুখ দেখেনি।

একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জয়নব আরা বেগম জানান, শুধু খাবার পানি নয়, নিত্য ব্যবহার্য্য পানিরও নিদারণ সংকটে পড়েছে পানবাজার এলাকাসহ আশেপাশের লোকজন। সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় ফারুক পানি সংকট লাগবে কিছুটা সহায়তা করলেও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।

জানতে চাইলে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মনির আহমদ জানান, অসমাপ্ত পানি শোধনাগার প্রকল্পের কাজের জন্য ৪৬ লক্ষ বরাদ্দ হয়েছে বলে শুনেছি। এখনো টেন্ডার হয়নি। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর আর টেন্ডার হবে বলে মনে হচ্ছে না।