বান্দরবানে পাচারের ২ মাস পর কিশোরী উদ্ধার।


জয় বাংলা নিউজ প্রকাশের সময় : ১৩/০৮/২০২২, ১১:০৮ AM / ১২
বান্দরবানে পাচারের ২ মাস পর কিশোরী উদ্ধার।

বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়ন কাইচতলি এলাকা হতে পাচার হওয়া কিশোরীকে প্রায় দুই মাস পর উদ্ধার করেছে বান্দরবান সদর থানা পুলিশ।

একই সাথে পাচারকৃত কিশোরীকে নিজ বাসায় রাখার অপরাধে জান্নাতুল ফেরদৌস সাদিয়া নামে আরেক সদস্যকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (১২আগষ্ট) চট্টগ্রামের কাঠগড় এলাকা হতে উদ্ধার করা হয় তাকে।আটক জান্নাতুল ফেরদৌস সাদিয়া চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকার আবুল কাশেমের মেয়ে।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়,বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের কাইচতলি এলাকার আবদুল সালামের ছেলে আবুল মাসুদ মুন্না সম্পর্কে তার মামা হন। সে সূত্রে তাদের বাসায় আসা যাওয়া ছিল। সে সুযোগে কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক বার ধর্ষণ করে লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে বলেননি। সর্বশেষ গত ১৪ জুন ওই কিশোরীকে চট্টগ্রাম মুন্নার এক পরিচিতের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানেও তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং তার পরিচিতদের সহায়তায় কিশোরীকে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করায়।

বান্দরবান সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান,উদ্ধারকৃত কিশোরীর মা বাদি হয়ে অভিযোগ করার পর থেকে কিশোরীকে উদ্ধারের কার্যক্রম চলমান ছিল।আগেও অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম থেকে রাউজান ডাবুয়া এলাকার মো. ইয়াহিয়ার স্ত্রী কামরুন নাহার সাথী (৩৭) ও সিএমপি লালখান বাজারের মো.হারুনের মেয়ে নাসরিন আক্তার শিল্পী (২৪) ও বান্দরবান সদর উপজেলার কাইচতলি এলাকার আবদুল সালামের ছেলে আবুল মাসুদ মুন্না (৩৮) এবং তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার দিতি (২৬)কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছিল।

সর্বশেষ আজ (১২ আগষ্ট) চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কাঠগর এলাকার একটি ভাড়া বাসা হতে কিশোরীকে উদ্ধার ও জান্নাতুল ফেরদৌস (সাদিয়া) নামে একজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মোট ৫ জনকে আটক করা হয়।

 

 

পৌর কর্মকর্তা,কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা,সার্টিফিকেট প্রদান।